ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসোনারোর গ্রেফতার ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশটিতে। সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একদিকে নেচে গেয়ে আনন্দ উৎসব করছে মানুষ, অন্যদিকে বিক্ষোভ-মিছিলের মাধ্যমে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানাচ্ছে বোলসোনারো সমর্থকরা।
মূলত, ৫টি গুরুতর অপরাধের দায়ে ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দি ছিলেন বোলসোনারো। সেখানে নিজের হাতে লাগানো ‘অ্যাঙ্কেল মনিটর’ ভেঙ্গে ফেলার দায়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ আদালত। শনিবার নিজ বাসভবন থেকে আটক করা হয় সাবেক প্রেসিডেন্টকে।
বোলসোনারোর ছেলে ফ্লাভিও বলেন, আমি কেবলই তার অ্যাঙ্কেল মনিটর ভেঙ্গে ফেলার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করি। দীর্ঘদিন বন্দিজীবন কাটানোয় তার তীব্র হতাশার ফল এটা। হয়তো নিজের বন্দিদশা নিয়ে পরিবারের কাছে লজ্জিত ছিলেন তিনি। আমি জানিনা ঠিক কি কারণে এমন কাণ্ড ঘটালেন।
এদিকে, সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্রেফতারের পর থেকেই নানাভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশটির জনগণ। ব্রাসিলিয়ায় ফেডারেল কারাগারের বাইরে ‘ফিউনেরাল মার্চ’ অর্থাৎ ‘শেষকৃত্যের সঙ্গীত’ বাজিয়ে তার গ্রেফতার উদযাপন করছে কেউ কেউ। অন্যদিক বোলসোনারোর গ্রেফতারকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে তার সমর্থকরা। প্রতিপক্ষের সাথে সংঘাতের ঘটনাও হয়েছে।
একজন বলেন, এই গ্রেফতার ব্রাজিলের ইতিহাসের একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক। অন্যায় করে যে কেউই পার পায়না, এই ঘটনা তার উদাহরণ। সাধারণ ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য তিনি মোটেই নন। তিনি যা করেছেন, কড়ায় গণ্ডায় শাস্তি পেতেই হবে।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে হেরে ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভার বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাসহ একাধিক অপরাধে বোলসোনারোকে ২৭ বছর ৩ মাস কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটির আদালত।