ইসরাত জাহানঃময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন(জিসাস) এর গফরগাঁও উপজেলার আহ্বায়ক মোঃ আল আমিন এর তত্ত্বাবধানে গফরগাঁও মিনি স্টেডিয়ামে শত শত কর্মী নিয়ে মরহুম প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মবার্ষিকী পালন করাহয়।
ঘড়ির কাঁটা ঠিক বারোটা এক মিনিট বেজে ওঠার সাথে সাথেই মরহুম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করার মাধ্যমে আলোচনা হয় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন আদর্শ নিয়ে।
এ সময় গফরগাঁও উপজেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন এর আহাব্বায়ক মোঃ আল-আমিন মিয়ার সভাপতিত্বে, মাহমুদুল হাসান লিয়াকত এর সঞ্চালনায় জাঁক জমক পূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হলো প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী।
উক্ত জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা করেন জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে বাংলার মানচিত্রকে সবুজ শস্য শ্যামলা হিসাবে বিশ্বের দরবারে উচ্চস্বরে পরিচিতি করার।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার জিয়া সংস্কৃতি সংগঠন(জিসাস) র সাধারণ সম্পাদক মোঃ সলিম উল্লাহ্( সাংবাদিক ও কলামিস্ট), উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম কাজী, সহ-সভাপতি মোঃ আশরাফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রতন মিয়া,সহ সভাপতি মাহমুদুল হাসান লিয়াকত,শেক ফারুক আহমেদ,পৌর যুবদল এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রনি কাজী, পৌর যুব দলের মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় নেতাকর্মীরা জিয়ার আদর্শ এবং বেগম খালেদা জিয়া ও হৃদয়ের রাজকুমার তারেক রহমানের আদর্শে কিভাবে আদর্শিত হতে পারে এই নিয়ে আলোচনা হয়। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে কঠোর হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে নম্রসুরে উপস্থিত নেতাকর্মীদেরকে ধৈর্য এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে যেন সমাজের দায়বদ্ধতা বজায় রেখে একে অপরের ভাতৃত্বের সম্পর্কে রাজনৈতিক আলোচনা পর্যালোচনা করে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আদেশ নির্দেশ ও দেশ নায়ক তারেক রহমানকে দেশ পরিচালনার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে পারে এ ব্যাপারে তাহার পক্ষ থেকে আহ্বান জানান। প্রধান অতিথি বলেন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গ্রুপিং থাকতেই পারে এটা স্বাভাবিক কিন্তু হিংসা প্রতি হিংসা মন থেকে বাদ দিয়ে সবাই যেন জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিএনপির অনুকূলেই থাকে। কোনরকম কোন অনুপ্রবেশকারী,সন্ত্রাসী,মুনাফেক,দলে প্রবেশ করতে না পারে সেই ব্যাপারে রাজনৈতিক হৃদয়ের রাজকুমার তারেক রহমান যে নির্দেশ প্রদান করেন আমরা সব সময় যেন মেনে চলতে পারি। প্রধান অতিথি আরো বলেন সাংস্কৃতিক এমন ভাবে পরিচর্যা করতে হবে যে যে ধর্মের থাকুক না কেন সবারই হৃদয়ে যেন সাংস্কৃতিক এর মাধ্যমে স্থান করে নেওয়া যায় ।হতে পারে ইসলামিক সাংস্কৃতিক,হতে পারে লালনের সাংস্কৃতিক, হতে পারে নজরুলের সংস্কৃতি,হতে পারে দেশাত্মবোধক সংস্কৃতি, অর্থাৎ আমরা সাংস্কৃতিক পরিবেশ উপহার দিয়ে সমাজ থেকে অন্যায়, অবিচার,ইভটিজিং,সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি সহ সকল প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড থেকে যেন এলাকার যুবক-যুবতীদেরকে দেশ গড়ার দিকে মনোযোগ করতে পারি এমন সাংস্কৃতিমণা সবাইকে হতে হবে। উপজেলা সংস্কৃতি সংগঠনের আহবায়ক মোঃ আল আমিন মিয়া গফরগাঁওয়ের প্রতিটি অঞ্চলে যেন সুস্থ-সংস্কৃতিক পৌঁছে দিতে পারেন এমনটি আশা ব্যক্ত করে এলাকার উচ্চপ্রদস্থ রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তাকে আদেশ নির্দেশ দিয়ে মরহুম জিয়াউর রহমানের সাংস্কৃতিক মণা আদর্শ সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন এব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন। আলোচনার শেষে কোরআনে পাক থেকে তেলাওয়াত, দরুদ ও সালামের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর মাগফেরাত কামনা করে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে হৃদয়ের রাজ কুমার তারেক রহমানের মঙ্গল কামনা করে দেশ ও জাতির জন্য মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।