মফিদুল ইসলাম লাভলু (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম জুয়েল এর অসাংগঠনিক, অনৈতিক কার্যকলাপের দায়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমানুল ইসলাম জলিল। গত শনিবার ২৫ মে দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলনে
লিখিত বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক আমানুল ইসলাম জলিল বলেন, গত ২০১৮ সালে ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর আমাকে সাধারণ সম্পাদক ও তাজুল ইসলাম জুয়েলকে সভাপতি ৭৫ বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়েছে কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগ। কিন্তু কমিটি হওয়ার পর থেকে তাজুল ইসলাম জুয়েল বেপরোয়া হয়ে টাকা কামানোর জন্য বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত হয়। এতে ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের স্থবিরতা চলে আসে। তাকে বার বার এসব অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করার পরেও তিনি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের একক ক্ষমতা বলে বিভিন্ন উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয়। তার এসব কার্যকলাপের কারণে জেলা তাঁতী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ক্ষুব্ধ হয়ে ময়মনসিংহ জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন যা এখন চলমান রয়েছে। তিনি আরোও বলেন, সংগঠন বিরোধী, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী যা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতের গড়া সংগঠন বাংলাদেশ তাঁতী লীগ এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে তাজুল ইসলাম জুয়েলকে ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মোঃ ইঞ্জিনিয়ার হামিদুল হককে (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে ময়মনসিংহ জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম জুয়েল এর কাছে নতুন কমিটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে বলেন আমাদের জেলা কমিটি বিলুপ্ত হয়নি এবং নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে নতুন কমিটিও দেওয়া হয়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আর যদি নতুন কমিটি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা নতুন কমিটির কাগজপত্র দেখেন। অপরদিকে সাধারণ সম্পাদক জলিল বলেছিল নতুন কমিটির কাগজ হোয়াটস অ্যাপে পাঠিয়ে দিবে কিন্তু তিনি নতুন কমিটির কাগজপত্র পাঠাতে সক্ষম হয়নি।