মাগুরা প্রতিনিধিঃ কতৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আম গাছ কর্তন করা হয়েছে । গত শুক্রবার সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি আমগাছ অনুমতি ছাড়াই কর্তন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান লিটনএর মৌখিক নির্দেশে একটি আম গাছ ও একটি আম গাছের বড় ডাল কাটা হয়। এ ভাবে অভিনব কায়দায় বড় গাছের ডাল কেটে কেটে পরে মুল গাছটি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু তাই নয় গতমাস খানেক আগে বিনা টেন্ডারে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গত কয়েক বছার আগে দুই লক্ষাধিক টাকা ব্যায়ে নির্মিত একটি গাড়ি গ্যারেজ ভবন ঐ আম গাছের পাশ থেকে বিক্রয় করে দিয়েছেন ঐ কর্মকর্তা। এর মাস তিনেক আগে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাফুজ্জামান লিটন এর মৌখিক নির্দেশে শ্রীপুর থানা প্রাচির সংলগ্ন শ্রীপুর উপজেলার উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অভ্যান্তরে থাকা দুটি নারিকেল গাছ ও বাইরে থাকা একটি বেলগাছ কেটে নিয়ে যায়। তবে শ্রীপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বাইরে থেকে যে বেলগাছটি কর্তন করা হয় সেই বেলগাছের নামানুসারে ঐ স্থানের নাম বেলতলা বলেও পরিচিত ছিল।
এর আগে উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অর্ধ লক্ষ টাকা মুল্যের একটি জাম গাছ ও একটি মরা আম গাছ ঐ কর্মকর্তার নির্দ্দেশ্যেই কেটে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের উত্তর দিকে প্রাচিরের পাশে গাড়ি গ্যারেজ,একটি আম ছিল। এছাড়া হাসপাতালের মুল ফটকের ডান পাশে থাকা আম গাছের বড় একটি ডাল কেটে নেওয়া হয়েছে। শ্রীপুর উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আম গাছ, নারিকেল গাছ, বেল গাছ ও জাম গাছ কেটে নেওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাফুজ্জামান লিটন এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান। তাঁর মৌখিক নির্দেশে গত শুক্রবার সকালে আম গাছসহ অন্যান্য গাছগুলো কেটে ফেলা হয়। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি বলে জানাগেছে। ডাঃ আশরাফুজ্জামান লিটন ২১ মে ২০২২ ইং তারিখে তিনি শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে অনেক অনিয়ম করে চলেছেন। এই উপজেলায় যোগদানের আগে তিনি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন সেখানে ও তিনি চিকিৎসা সরজ্ঞাম কেনা নিয়ে এক কোটি একুশ লাখ টাকার দরপত্র আহবান করা হয়। ছয় সদস্যে বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।ছয় সদস্যের মধ্যে তিন সদস্যের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নথি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরন করে। এ বিষয়ে দুর্নিতি ও অনিয়মের সংবাদ চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। শ্রীপুর উপ- স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা উপ- সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাইদুর রহমান কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের অভ্যান্তরে থাকা গাছ কর্তনের আগে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান লিটন স্যার মোবাইল ফোনে আমাকে বলেন, শ্রীপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম টোকন গাছগুলো কেটে নিয়ে যাবে আপনি কোন বাধা দিবেন না।
এ ব্যাপরে আরো কোন কিছু জানার থাকলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান লিটন স্যারের সাথে কথা বলেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে ডাঃ আশলাফুজ্জাজামান লিটনের সাথে কথা বলে জানতে চাই, গাছ কাটার আগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না, টেন্ডার হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাফুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হয়েছে, অন্যান্যদের সাথেও কথা হযেছে, গাছ কাটার বিষয়টি সবাই জানেন, তাছাড়া গাছ বিক্রি করে টাকা মসজিদের তহবিলে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার শামিম কবির এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আপনাদের আগেই নিউজ করার দরকার নেই, আমার নোলেজে নেই বিষয়টি দেখি আগে কি অবস্থা, আপনাদের কাজ হলো ভুল ধরানো ,আমাদের কাজ ব্যবস্থা নেওয়া। আমি ব্যবস্থা না নিলে তারপর বড় করে নিউজ করবেন।