মুশফিকুর রহিমের ঐতিহাসিক শততম টেস্টে জয়ের মঞ্চ প্রস্তুত ছিল চতুর্থ দিনেই। শেষ দিনে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ উইকেটের। সেটিও সকালের সেশনেই পাওয়ার আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বাঁধ সাধেন আইরিশ ব্যাটার কার্টিস ক্যাম্ফার। তবে দ্বিতীয় সেশনের মাঝপথেই অপরপ্রান্তের দুই ব্যাটারকে বিদায় করে মুশফিককে জয় উপহার দিল বাংলাদেশ দল। মিরপুর টেস্টে শেষ পর্যন্ত ২১৭ রানের বড় জয়ই পেল স্বাগতিকরা। এই জয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিল শান্তবাহিনী।
ম্যাচের শুরু থেকেই চালকের আসনে ছিল স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয় (৩৪) ও সাদমান ইসলামের (৩৫) গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ঝকঝকে ১২৮ রানের ক্লাসিক ইনিংস, আর মুশফিক খেলেন ১০৬ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস। মুমিনুল হকের ৬৩ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ৪৭ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে ৪৭৬ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
জবাবে আয়ারল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে লর্কান টাকার (৭৫) ছাড়া আর কারোর দৃঢ়তা দেখাতে না পারায় ২৬৫ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে বড় লিড নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নেয় টাইগাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটারদের দাপট অব্যাহত রাখে বাংলাদেশ। নিজের ক্যারিয়ারের শততম ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫৩ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে এই মাইলফলক ম্যাচটি রাঙিয়ে রাখেন। মুমিনুল হক খেলেন ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ৪ উইকেটে ২৯৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে আয়ারল্যান্ডের সামনে পাহাড়সম লক্ষ্য ছুড়ে দেয় নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯১ রানের বেশি করতে পারেনি। পঞ্চম দিনের সকালে বাংলাদেশের জয়ের পথে একমাত্র বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কার্টিস ক্যাম্পার। এক প্রান্ত আগলে রেখে তিনি ৭১ রানে অপরাজিত থাকলেও, অন্য প্রান্তে যোগ্য সঙ্গীর অভাবে হার মানতে হয় তাকে। বাংলাদেশের বোলাররা লাইন-লেংথ বজায় রেখে প্রতিপক্ষকে সারাক্ষণ চাপে রাখেন এবং সঠিক সময়ে উইকেট তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মাজহারুল হক
Email: news.pratidinerbangladesh@gmail.com
ফোনঃ 01752-388928
প্রধান কার্যালয়ঃ লেভেল ১৫/এ, ১২ সোনারতরী টাওয়ার, বাংলামোটর, ঢাকা।
Copyright © 2025 প্রতিদিনের বাংলাদেশ. All rights reserved.