পরবর্তীতে আহ্বায় কমিটি আবার আমাকে সদস্য করা হয।বিএনপি’র সকলেই আমাকে ভালোবাসে তাই নিজেকে কোন গ্রুপের সাথে জড়াইনি। তবে বিএনপির নেতাদের সাথে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল যার স্বাক্ষী সারোয়ার ভাই, মোতাহার সাহেব সিদ্দিক ভাই আমিনুল চেয়ারম্যান , এমদাদ হোসেন খান, হেলাল উদ্দিন হেলো সানোয়ার সহ অনেকেই। একজন জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিক হিসেবে ও ফুলপুর সাংবাদিকদের নেতা হিসেবে যতটুকু একটিভিটিস থাকার কথা আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে এর বেশি আমার ছিল না। অনেকেই বলে আমি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য ছিলাম। কথাটা সত্য নয়। সাধারণ সম্পাদক অসুস্থতা থাকায় তার অবর্তনে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে মিটিংয়ে মাঝে মাঝে যেতাম। প্রথমবার বিএনপি সরকার ক্ষমতা হারানোর পর ফুলপুর আমোয়াকান্দা মোড়ে ১৫ বছর আগে আমাদের সাংবাদিক সমিতির একটি অফিসটি ভোলডেজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় । আমি ছিলাম সেই সাংবাদিক সমিতির সভাপতি । সাংবাদিক সমিতির সভাপতি হিসেবে বঙ্গভবনে বিএনপির মনোনীত মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছিলাম।
যার খবর রেডিও টিভিতে সে সময় ফলাও করে প্রচার হয় । আমি একটি প্রেসক্লাব গঠন করেছিলাম। আমি ছিলাম সেই প্রেসক্লাবের সভাপতি। দিনকালের সাংবাদিক ছাত্তারকে নিয়ে ৪০ দিনের তাবলীগ জামাতের চিল্লার যাই। চিল্লা থেকে এসে দেখি আমার প্রেসক্লাব দখল হয়ে গেছে । সাংবাদের পাঠকদের হতো মনে আছে ফুলপুর শেরপুর রোডের এক শরীফ আহমেদ এমপি বক্তৃতায় বলেছিলেন “ ফুলপুরে আমার বাইরে যে রাজনীতি করবে তার পিঠের চামড়া থাকবে না,’পর দিনই দৈনিক সংবাদ এই বক্তব্য কোট করে রিপোর্ট লেখলাম “ নিজ দলের কর্মীদের পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার হুমকি দিলেন আওয়ামী লীগের এমপি শরিফ আহাম্মেদ ‘“। এ রিপোর্টের জন্য আমাকে অনেক খেসারত দিতে হয়। ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতা কতৃক হুমকি ধামকি সহ্য করতে হয়েছে। একজন সাংবাদিক হিসাবে কখনো তারা সম্মান করেছে অস্বীকার করবো না। একবার ঋণ খেলাপির কারণে পৌর মেয়র শশধর সেন এর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিল উপজেলা বাছাই কমিটি, এ খবর টি ফেসবুকে প্রকাশ করার কারণে আমার বাসায় পর্যন্ত হামলা হয়েছিল । আওয়ামী লীগ আমলে নতুন কোন ইউএনও ওসি ফুলপুরে যোগদান করার পরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি বিল্লাল হোসেন সহ তার অনুসারীরা এবং আওয়ামী লীগ নেতারা তাদেরকে সতর্ক করে দিত নুরুল আমিন বিএনপির লোক দপ্তর সম্পাদক ছিলো তাকে যেন কোন প্রশ্রয় দেওয়া না হয় ;বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না । আমার ভাই আবুল বাশার উপজেলা পরিষদে চাকরী করতো বিএনপি পরিবারের সদস্য অভিযোগে তার চাকরি চলে যায়। ইউএনও অফিস হাসপাতালের কোন বিজ্ঞাপন আমাকে দেয়া হতো না,সাংবাদিক হিসেবেও যতাযত মূল্যায়ন পেতাম না।
সংবাদের প্রয়োজনে মাঝে মাঝে দেখা হতো আওয়ামী লীগ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সাথে। বালিয়ার পীর মাওলানা গিয়াস উদ্দিন মহোদয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক থাকার কারণে অনেকে আমাকে বিএনপি জামায়াত মৌলবাদীর ধূসর বলা হতো। তবে ফুলপুরের সকল সাংবাদিক দের নিয়ে যখন সংবাদ সম্মেলন ডাকতো তথন আমারও ডাক পড়তো। বিভিন্ন গায়েবী মামলায় আমাকে আসামি করার চেষ্টা করা হলেও সাংবাদিক ও থানার ওসির সাথে জানা শোনা থাকার কারণে ও সেসব মামলা, থেকে প্রথমেই নাম কেটে দেয় । ওসিরা আমাকে বলতো আপনার নামও ছিল আমি কেটে দিয়েছি, সংবাদ কর্মী হিসাবে হয়তো আসামি করিনি। বিএনপির পরিবারের একজন সন্তান হিসাবে কিছুদিন আশরাফ উদ্দিন সরকার, জিয়াউদ্দিন মুরাদ, সাবেক এমপি সাহ শহিদ সারোয়ার ,মোতাহার হোসেন তালুকদার এর সাথে সম্পর্ক ও বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক থাকার কারণে প্রায় প্রতিটি মামলায় আমার নাম দেওয়া হতো,সাংবাদিক হিসেবে ওসি ইউএনও সাথে সম্পর্ক থাকার কারণে নামগুলো প্রথম পর্যায়ে কেটে যায় ।
সাংবাদিকতা করতে যেয়ে পদে পদে লাঞ্ছিত হয়েছি উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাই চেয়ারম্যান পরে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ছাড়া আর কারো কাছে বিচার দেওয়ারও কোন জায়গা ছিল না। সিনিয়র সাংবাদিক হিসাবে সে আমাকে সম্মান করতো তা অবশ্যই অস্বীকার করিনা। তবে তার কাছ থেকে সব সময় দূরে থাকতাম। কোন কারনে দেখা হলে অনেকেই ফোস ফোস করতো বিএনপির সাংবাদিক এখানে কেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ময়মনসিংহে আর আমি ফুলপুরে মাঠে থেকে ভূমিকা পালন করেছি, তার ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে সংরক্ষিত আছে। পরিশেষে একটি অপ্রিয় সত্য কথা বলি গ্রুপিং লবিং আর হিংসা ভেদাভেদের কারণে ফুলপুর বিএনপির চলার পথ কখনোই মিশ্রণ ছিল না। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আমরা ফুলপুরে একবার আলেম-ওলামা, ছাত্র-জনতা ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপিকে বিজয় করে ছিলাম। বিএনপি গঠন হওয়ার পর সারাদেশে যখন বিএনপির জয়জয়কার তখনো মুসলিম লীগের ইসমাইল হোসেন তালুকদারের হাতে পরাজিত হয়েছিল ফুলপুর বিএনপি, তারপর বারবার জাতীয় পার্টির ভোট ভাগাভাগিতে বার বার হেরে যেত বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জন্মের প্রায় ৫০ বছরে একবার মাত্র ধানের শীষ বিজয়ী হয়েছিল, তাও আবার জাপার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব সাহ শহীদ সারোয়ারকে মোতাহার সাব সহ আমরা তাকে দলে ফিরিয়ে এনে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করিয়ে বিজয়ী করেছিলাম । পরে সিদ্দিকুর রহমান সাহেবকে সাধারণ সম্পাদক করে যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই কমিটির দপ্তর সম্পাদক ছিলাম আমি ।সাংবাদিকতা করার কারণে মিটিং মিছিলে সাধারণত না থাকলেও আমি বিএনপি পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে দলকে ভালোবেসেছি । আমি এই দলের মঙ্গল কামনা করেছি সব সময়।আমি চাই ফুলপুর বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী দিনের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে। ফুলপুরে বিএনপি’র ত্যাগী কর্মী ও বিএনপি পন্থী ব্যক্তি রায় দলে স্থান পেয়েছে বলে আমি মনে করি। অনেক বড় দল, সবাইকে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয়নি। তারপরও প্রতিহিংসায় না যেয়ে সর্বমহলকে কমিটিতে রাখার চেষ্টা একটি মহৎ উদ্যোগ বলে আমি মনে করি। কমিটিতে জাতীয়তাবাদী পরিবারের প্রতিনিধিকে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়েঝে হয়েছে।