গোলাম কিবরিয়া পলাশ, ব্যুরে চিফ, ময়মনসিংহঃ
রেনেসাঁ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তদন্ত আর শেষ হয় না। বিভিন্ন দপ্তরে স্কুলের স্টাফগণ অভিযোগ দাখিল করার পর শিক্ষা মাধ্যমিক অফিসার সহ তিন জন তদন্তে আসে। কিন্তু এ তদন্তে কি হলো জানতে পারেনি ভুক্তভোগী সহ শিক্ষার্থারী অভিভাবক সহ স্থানীয় লোকজন। রেনেসাঁ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ পারভীন এর আওয়ামী প্রতাপ এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকবৃন্দ।
জানা গেছে, চরাঞ্চলের সুনামধন্য একমাত্র বালিকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রেনেসাঁ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় বিলীন হওয়ার পথে। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অন্তর্গত ৫নং সিরতা ইউনিয়নে অবস্থিত রেনেসাঁ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানাজ পারভীন এর অত্যাচারে শিক্ষক -কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এর প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে হেনস্তা করে রাখতেন এবং বলতেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাঈদ আমার ভাগিনা, আমি যা বলবো তাই হবে।
তারই প্রমাণ স্বরুপ বিগত ২০১৮ সাল হতে অদ্যাবধী কোন নিয়মিত কমিটি গঠন না করে উনার পছন্দমত আওয়ামী লীগের ২জনকে ৬ মাসের জন্য এডহক কমিটিতে নিয়ে আসেন। তাদের মধ্যে একজন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন হলেন প্রধান শিক্ষকের ভগ্নিপতি, অন্যজন হলেন সেলিম উদ্দিন সেলিম। সম্পর্কে উনার মামা হন।
গত সাপ্তাহে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার অফিস কক্ষে শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ। ঠিক ওই সময় তার আচরণে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। চিল্লাফাল্লার শব্দ শুনে স্কুলের সমস্ত শিক্ষক ও স্টাফ বৃন্দ এবং স্থানীয় কিছু লোকজন অফিস কক্ষে ঢুকে। পরে ঘটনা অন্য মোড়নেয়। শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের শান্তনা ও বিচার করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। তার পরেও তারা মানতে রাজি নয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে আসছে প্রতিনিয়ত।
পরে ঘটনার পরিস্থিতি বিএনপি নেতা, সবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, জমি দাদার পুত্র আশরাফুল আলম শিক্ষার্থীদের আশ্বাস্ত করে নিয়ন্ত্রণে আনেন। যে কয়েক মিনিট উপস্থিত ছিলাম আমি নিজেও প্রধান শিক্ষিকার আচরণ দেখে অবাক হয়ে গেলাম। স্কুলে সমস্ত শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষার্থী কেউ ভালো না শুধু সে ভালো এরাকমটায় তার দাবী।
তবে মজার বিষয় দেখলাম এই প্রধান শিক্ষক এই স্কুলে চাকুরির শুরু থেকেই আচরণ এমন স্থানীয়দের দাবী। স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাদা সহ ম্যানেজিং কমিটিবৃন্দ তাকে সতর্ক করতে চাইলে কমিটি পরিবর্তন হয়ে যায়। এ স্কুলের শিক্ষক কর্মচারী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক সহ কমিটিবৃন্দ দীর্ঘ দিন ধরে বলে আসছে আচরণ ভালো করেন না হলে এ স্কুলে আমরা থাকবো না। তখন প্রতিত্তোরে আশে চলে যান।
এরকম করতে করতে স্কুলের বারোটা বেজে গেছে। এ ভাবেই চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে দেখা যাবে স্কুল আছে, শিক্ষক/শিক্ষিকা আছে, বেতন আছে, ছাত্রী নাই। এর জন্য দায়ী কে!
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মাজহারুল হক
Email: news.pratidinerbangladesh@gmail.com
ফোনঃ 01752-388928
প্রধান কার্যালয়ঃ লেভেল ১৫/এ, ১২ সোনারতরী টাওয়ার, বাংলামোটর, ঢাকা।
Copyright © 2025 প্রতিদিনের বাংলাদেশ. All rights reserved.