মোঃ জিয়াউর রহমান নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৪তম তিরোধান দিবস উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।১৮ অক্টোবর, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় পূর্ণসেবা গ্রহণের মধ্যদিয়ে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান শেষ হয়। কুষ্টিয়া জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোছা. শারমিন আখতার সাধুদের মাঝে পূর্ণসেবা পরিবেশন করে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।এসময় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মো. জাহাঙ্গীর আলম সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। লালন সাঁইজির তিরোধান দিবসে তাঁর আখড়াবাড়িতে আসা সাধু ও ভক্তরা বৃহস্পতিবার বিকেলে অধিবাস ও গুরুকর্ম দিয়ে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠান শুরু করে।
১৮ অক্টোবর, শুক্রবার সকালে দৈন্যবাণী পরিবেশ ও বাল্যসেবা এবং বিকেলে পূর্ণসেবা দিয়ে তা শেষ হয়। সাধুসঙ্গ শেষ হলে আখড়াবাড়ি থেকে অনেক ভক্ত ও সাধুরা লালন ধাম ত্যাগ করলে এখনও আখড়াবাড়িতে রয়ে গেছেন অসংখ্য সাধু, লালন ভক্ত ও অনুসারীরা। তবে তিনদিনের লালন উৎসব চলবে শনিবার পর্যন্ত।
মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’ লালন সাঁইজির এই মর্মবানীকে প্রতিপাদ্য করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তিনদিন ব্যাপী তিরোধান দিবস অনুষ্ঠানের আজ শুক্রবার ছিল দ্বিতীয় দিন।সাঁইজির টানে বিনা আমন্ত্রনে দেশ-বিদেশ থেকে লালন উৎসবে যোগ দিয়েছেন অসংখ্য সাধু. লালন ভক্ত ও অনুসারীরা। মাজারে এসে তারা ভাবতত্বে হয়েছেন মোহিত।