আহমেদ সাজু ,সখীপুর টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ভূয়াইদ এলাকার খুংগারচালা জমশের নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা আতংকিত হয়ে পড়ায় উপস্থিতি কমে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার(২৯আগষ্ট)সরেজমিনে দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,ঐ বিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষিকা ও তিনজন শিক্ষক একজন দপ্তরী এবং অফিস সহকারী কামরুজ্জামাল ছাড়া আর কারো দেখা মেলেনি।এসময় প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকের অনুপস্থিতির ব্যাপার জানতে চাইলে,তারা কিছু জানে না।
বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত নেই কেন জানতে চাইলে,একজন শিক্ষিকা জানান,গত কয়েক দিনে আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে মারামারি ও বহিরাগত কয়েকজনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হওয়ায় অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আসতে দেয়নি।উচ্চ মাধ্যমিক এ বিদ্যালয়ের কোন শ্রেণিতে একজন শিক্ষার্থীও উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে জানাতে গণমাধ্যম কর্মী দেখে এগিয়ে এসে স্থানীয় শারীরিক শিক্ষক ফরমান আলী বলেন,অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো.হাসমত আলী র স্বেচ্ছাচারিতায় ছোট বোন আছিয়াকে আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে বছরের পর বছর অনুপস্থিত থেকে বেতন-ভাতায় স্বাক্ষর করে সরকারি সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিবাদ করায় কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়।
কয়েকজন সহকারী শিক্ষকের দাবি, অভিযুক্ত আয়া কাগজ কলমে উপস্থিত হলেও বছরে কোন কর্মঘন্টায় তার দেখা মেলেনি। গত বুধবার আনুমানিক সকাল ১১টার দিকে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত আয়া আছিয়া বেগমের স্বামী স্থানীয় জয়নাল আবেদীন ও তার ছেলে মোহন বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে গিয়ে প্রতিবাদ করা সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসানকে (আইসিটি)এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এসময় উপস্থিত শিক্ষকরা এগিয়ে এলে তারা সটঁকে পড়েন।একই দিনে স্কুল চলাকালীন সময়ে রহিমগঞ্জ স্কুলের সাবেক শিক্ষক আ:হালিম মাষ্টারের ছেলে সাইফুল ইসলাম, মনসুর ও সামাদের বিরুদ্ধে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.হাসমত আলীকে বেদম প্রহারের অভিযোগ ওঠেছে।
ঐ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক মধ্যে মনমালিন্যের জেরে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশে মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দিয়েছে।এবিষয়ে সখীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন অর রসিদ অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আমাকে বিষয়টি তদারকি করার জন্য দিয়েছে।উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ সমাধানের চেষ্টা করা হবে।