মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিকতায় চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই বললেই চলে : উপ-প্রেস সচিব লরির ধাক্কায় উল্টে গেলো ট্রেনের ইঞ্জিন, নিরাপত্তা কর্মী নিহত মন্থা প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত, হুঁশিয়ারি সংকেত অব্যাহত ভোটের আগে অধিকাংশ অস্ত্র উদ্ধার হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গৌরীপুরে গৃহবধূ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ফের পাক-আফগান সীমান্তে সংঘর্ষ, প্রাণহানি ২৫ মেট্রোরেল দুর্ঘটনা: দাফন শেষে কালামের বাড়িতে আহাজারি, শিশুকে সান্ত্বনা—‘বাবা ঘুমাচ্ছে মা, তুমি কান্না করো না’ রাতভর ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ বন্ধ থাকার ২২ ঘণ্টা পর উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচল শুরু গফরগাঁওয়ে সন্ত্রাসী সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

সাংবাদিকতায় চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই বললেই চলে : উপ-প্রেস সচিব

Reporter Name / ৭ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:১৯ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিকতা এমন এক পেশা, যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই বললেই চলে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
 আজাদ মজুমদার লিখেছেন, ‘ইদানিং দেখি, অনেক সাংবাদিক নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য সরকারি লোকজনের কাছে আর্জি জানান। এই বিষয়টা আমাদের জন্য বিব্রতকর। যাদের কলম ও কণ্ঠে প্রতিদিন মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের কথা উঠে আসে, তারাই যখন নিজেদের প্রাপ্যটুকুর জন্য অসহায় হয়ে পড়েন— সেটি আসলে সবার জন্যই হতাশার।’
 
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকতা এমন এক পেশা, যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা প্রায় নেই বললেই চলে। অধিকাংশের বেতনও অন্যান্য পেশার তুলনায় অনেক কম। কিন্তু সবচেয়ে বড় অবিচার ঘটে তখন, যখন কেউ বহু বছরের পরিশ্রম শেষে প্রতিষ্ঠান ছাড়েন— আর প্রাপ্য টাকা-পয়সা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যান।’
 
উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমের সাংবাদিকরা একেবারে খালি হাতে ফিরে যান। পত্রিকার ক্ষেত্রে যারা ওয়েজ বোর্ডের আওতায় আছেন, তাদের পাওনাটা আইনসিদ্ধ— কিন্তু বাস্তবে সেটিও পেতে হয় অনেক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে।’
 
তিনি বলেন, ‘এমন অনেক সাংবাদিককে দেখেছি, বছরের পর বছর মনপ্রাণ ঢেলে কাজ করেছেন; টানা মাসের পর মাস এমনকি সাপ্তাহিক ছুটিও নেননি। অর্জিত ছুটি, নৈমিত্তিক ছুটি— সবই ফেলে রেখেছেন প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে। ১৬ বছর চাকরি করলেও যদি কেউ ছুটি না নেন, আইন অনুযায়ী তাকে মাত্র দুই মাসের অর্জিত ছুটির অর্থ দেওয়া হয়। অর্থাৎ বাকি এক বছর দুই মাসের মতো সময় তিনি লিটারেলি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেন!’
 
‘আর যখন সেই দুই মাসের পাওনা চাইতে যান, তখন এমন আচরণ করা হয় যেন সাংবাদিকটিকে কোনো দয়া করা হচ্ছে। শ্রম আইনে মামলা করার সুযোগ থাকলেও সেটিও প্রায়ই মালিকদের পক্ষেই যায়। কারণ মামলা হলে রায় না হওয়া পর্যন্ত টাকা দিতে হয় না— আর বাংলাদেশের মামলার দীর্ঘসূত্রতা তো সবাই জানে। অনেক ক্ষেত্রে ১০ বছরেও রায় হয় না।’
 
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার আরো বলেন, ‘এই অবস্থায় মালিক বা কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোই হওয়ার কথা ছিল শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু বাস্তবে সেগুলোও আজ অনেকটাই নিরুত্তর। ইউনিয়ন নেতারা আসলে কী করেন কেউ জানে না।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin