নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোবহান মুন্সি অবৈধ সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তুলেছেন। সোবহান মুন্সি ভাংগা উপজেলার পৌরসভাধীন হুগলাডাঙ্গী সদরদীর আব্দুর রউফের পুত্র। স্থানীয়রা বলছেন, সোবহান মুন্সি একজন চিন্হিত যুদ্ধাপরাধীর পুত্র হয়েও শুধুমাত্র সাবেক সাংসদ মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মানব পাচার থেকে শুরু করে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ পথে টাকা পাচার, বাসস্ট্যান্ড দখল করে চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতার মাধ্যমে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেন।

সোবহান মুন্সির অবৈধ সম্পদের তদন্ত ও শাস্তির দাবী জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)”র চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভাংগার মশিউর রহমান নামের এক ব্যাক্তি। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ২০ বছর ভাংগা উপজেলা খাদ্য গুদামে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করেন। এ সময় তিনি উপজেলা খাদ্য পরিদর্শকদের সাথে লিয়াজো করে ভুয়া বিল ভাউচার এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। এছাড়াও তিনি মানি লন্ডারিংয়ের সাথে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযোগ থেকে আরো জানা যায়, সোবহান মুন্সির ঢাকা এবং ফরিদপুরেও রয়েছে বিলাসবহুল দুটি বাড়ি। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সুইস ব্যাংকেও তার বিপুল পরিমাণ টাকা রয়েছে ।

তিনি দুই তিন মাস অন্তর অন্তর লন্ডন সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া ভারতসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। সর্বোপরি তিনি রাজকীয় জীবনযাপন করে থাকেন। দীর্ঘ ২০ বছরে একক আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। একজন চা বিক্রেতার পুত্র হয়ে ২০ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়ার ঘটনায় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। বিদেশে তার অবৈধ সম্পদ রয়েছে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায় । অভিযোগের বিষয়ে সোবহান মুন্সির কাছে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন রেখে দেন তিনি।