উজ্জ্বল,কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ রবিবার বিকালে নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা পূর্বপাড়ার মৃত হাফিজুর হক মিয়ার কন্যা লাকী আক্তার (২৭) থানায় হাজির হয়ে তার স্বামী মদন থানার কাইটাল ইউনিয়নের দূর্গ্রাশ্রম গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৩০) সহ তার পরিবারের আরও তিনজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের লিখিত অভিযোগটি কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জের বরাবর দায়ের করেছে।
অভিযোগে উল্লেখিত লাকী আক্তারের স্বামী শহীদুল ইসলামসহ তার ভাই পলাশ মিয়া,মাতা জায়েদা আক্তার ও পলাশ মিয়ার স্ত্রী রক্সি আক্তারের নাম উল্লেখ করে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে বিগত পাঁচ বছর পূর্বে শহীদুল ইসলামের সাথে লাকী আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর হতেই পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে উল্লেখিত আসামীগণ শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করে আসছে। বিবাহিত জীবনে লাকী আক্তারের গর্ভে দুটি সন্তান জন্ম হওয়ার পর মারা যায়। পরবর্তীতে তার স্বামী শহীদুল ইসলাম লাকী আক্তারকে তার পিত্রালয়ে কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের গগডা পূর্বপাড়া পাঠিয়ে দেয়। এমনকি তার কোন খোঁজ খবর ও ভরণ পোষনের দায়িত্বও বহন করে নি। বিভিন্ন সময়ে উল্টো শহীদুল ইসলাম আর্থিক সহায়তা নেন। পরে লাকী আক্তারের আত্বীয় স্বজনদের মাধ্যমে শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে সে পাত্তা দেয় নি। এমন কি লাকী আক্তার নিজে গেলেও তাকে তাড়িয়ে দেয়। তাকে নিয়ে সংসার না করে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকিও প্রদান করে।
থানায় দায়েরকৃত লিখিত এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই মাসের এগারো তারিখ সকাল আটটার দিকে অভিযোগে উল্লেখিত বিবাদীগণ লাকী আক্তারের পিত্রালয়ে আসে এবং তাদেরকে তার আপ্যাপন করে এবং তাদের অনুরোধ করে লাকী আক্তারকে ঘরে উঠিয়ে নেওয়ার জন্য।
আপ্যায়নের পরে লাকী আক্তারকে নিয়ে সংসার করার জন্য দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুকের টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় শহীদুল ইসলাম পাশ্বস্থান হতে একটি লাঠি হাতে নিয়ে লাকী আক্তারকে এলোপাথারী বাইরিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে এবং পলাশ মিয়া,জায়েদা,রক্সি আক্তার পাশে থাকিয়া উৎসাহ দেয়। পরে ডাক চিৎকারে বাড়ীর লোকজন এসে রক্ষা করে। পরে প্রকাশ্যে শহীদুল ইসলাম হুমকি প্রদান করে যৌতুকের টাকা না পেলে সে লাকী আক্তারকে নিয়ে সংসার করবে না। মোটা অংকের টাকা নিয়ে অন্যত্র দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে তারা চলে যায়।
পরে লাকী আক্তার কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে। তার আত্বীয় স্বজনদের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী ভুক্তভোগী লাকী আক্তার জানান,আইনি পদক্ষেপের সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আমার প্রতি করা অবিচার ও অন্যায় নির্যাতনের ন্যায় বিচার চাই।
এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানা কর্তৃপক্ষ জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।