নিজস্ব প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহ উপজেলার হালুয়াঘাট থানার ৫ নং গাজীর ভিটা ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামে মাদ্রাসার এক অভিযোগের প্রেক্ষিতেই কি গ্রেপ্তার হয় মাদ্রাসার শিক্ষক ? এমন একটি ঘটনা ঘটে গেল হালুয়াঘাট উপজেলায়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট অভিযোগ দাখিল করা হলে এসআই রুবেল তদন্ত করতে গিয়ে থানায় ডেকে এনে ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। তার সহযোগী সোর্স কথিত নামধারী সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম কে দিয়ে নানান হুমকি দেয়। তার পর টাকা আদায় করতে না পারায় পরদিন নির্বাহী কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এবং থানার ওসির কথা বলে (বোনের বাড়িতে) খানা খাওয়া অবস্থায় এসআই রুবেল রুমে ঢুকে গিয়ে অসৎ আচরণ এবং মার মুখী হয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুল গাফফার কে থানায় ১১ ঘন্টা আটকিয়ে রেখে (অংক না মিলার পর)গ্রেফতার দেখা।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে জানাজা সূর্যপুর গ্রামে ফজিলাতুন্নেছা কওমি মহিলা মাদ্রাসার বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষ যখন হিংসাত্মক মনোভাব শুরু হয় যার কারণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন আলমগীর হোসেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার কি নির্দেশ দিয়েছেন তা উল্লেখ নেই এই অভিযোগ নামায়। অভিযোগ এর ভিত্তিতে গত ১৪ই মার্চ ২০২৪ ইং তারিখে নিরস্ত্র এসআই রুবেল মাদ্রাসা এবং বাড়িতে দাপটের সাথে অসৎ আচরণ করে হালুয়াঘাট থানা ডেকে নিয়ে আসেন। রুবেল এবং সাইফুল এদের সাথে আব্দুল গাফফার এর পরিবারদের অংক না মিলাতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় নিরস্র এস আই রুবেল। পরদিন গাফফার তার বড় বোনের বাসা দুপুরে খানা খাওয়ার সময় এসআই রুবেল অসির কথা বলে থানায় নিয়ে আসে এবং উপস্থিত লোকজন যখন এস আই রুবেলকে বলেন কি কারণে নিয়ে যাবেন তখন এসআই রুবেল কর্কশ ভাষা বলেন আমাকে আইন শেখাতে যাবেন না আমি ওসির সাথে কথা বলছি এই বলে রুবেল কার কাছে যেন কথা বললেন। এসআই রুবেলের এমন আচরণ পুলিশ দের প্রতি ঘৃণা জন্মাবে বলে জনশ্রুতে বলাবলি হচ্ছে।
সন্ধ্যার পর হালুয়াঘাট থানা অফিসার ইনচার্জকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন নিয়ে আসা হয়েছে ছাড়া যাবে না।
পর দিন মাদ্রাসায় আগুন দেওয়ার কারণে হালুয়াঘাট থানায় যখন মামলা দায়ের করতে চান কারো মাধ্যমে তখন হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা নেওয়া যাবে না বলে বার্তা প্রেরণ করেন।
এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীদের আহাজারি চলছে প্রতিহিংসার কবলে পড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হলো।আর ১৫ ইং মার্চ দুপুরে আলমগীর গং রা এস আই এর রুবেলের সামনে উচ্চস্বরে বলে যাচ্ছিল আজকে রাত্রের ভিতরেই এই মাদ্রাসা পুড়িয়ে ছারখার করে দেওয়া হবে ঠিক ঐদিন রাত্রেই মাদ্রাসায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনতে পেরে ফায়ার সার্ভিসকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে চলে এসে আগুন নিভাতে সক্ষম হন। এলাকাবাসীর দাবি প্রতিহিংসা কবলে একে অপর। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়েছে যারা এবং এসআই রুবেলের দাপট এবং অসৎ আচরণের বিচার দাবি করেন। এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কি টাকা দাবি করা এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা না করেই একজন লোককে গ্রেফতার করার অনুমতি দিয়েছেন এমন প্রশ্ন জনস্রোতের।( উল্লেখ্য যে ১৫ তারিখ দুপুরে থানায় ডেকে আনা হয় আর রাত দশটার সময় গ্রেফতার দেখানো হয়)