কাওসার হামিদ,তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলীর খোট্রার চরমাছ বাজার এলাকায় খালের ওপর দুই যুগ আগে নির্মাণ করা ব্রিজ পারাপার হওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার মানুষ। দ্রুত নতুন ব্রিজ করার দাবি স্থানীয়দের।
জানা যায়, উপজেলার খোট্রার চর-মাছ বাজার এলাকায় খালের ওপর ২০০০ সালের দিকে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে এলজিইডি। এর পরে ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় ব্রিজটি ডেবে যায়। এরপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি দীর্ঘ ১৬ বছরেও সংস্কার হয়নি। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ পারাপার করছেন। এই পারাপারে গত ৩ মাস আগে স্কুলে যাওয়ার সময় বেলালের ছেলে ইছা (৭) ব্রিজ থেকে পড়ে মাথা ফেটে গুরুত্বর আহত হয়। এছাড়াও প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ব্রিজটির ক্রস অ্যাঙ্গেল মরিচা ধরে নড়বড়ে ও কাত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সিমেন্টের ঢালাই দেওয়া বহু আগেই ভেঙে পড়েছে। মাঝখানে বিশাল ভাঙা সৃষ্টি হওয়ায় মেরামত করে ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া আসা করছেন মানুষ। এতে যে কোনো মুহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, এই ব্রিজটি দিয়ে খোট্রার চরের কয়েক হাজার মানুষ তালতলী উপজেলা শহরে যাতায়াত করে। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। প্রায়ই এই ব্রিজ পারাপারের সময় ঘটে দুর্ঘটনা। আমাদের দাবি দ্রুত যাতে এই ব্রিজটি করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় জাহাঙ্গীর বলেন, ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় অনেক অসুবিধা হচ্ছে। প্রায়ই দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হয়। ব্রিজটা খুব দরকার। সরকারের কাছে আবেদন করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্রিজটি নির্মাণ করে দেওয়া হোক।
নিশানবাড়িয়াা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ভাঙা ব্রিজটির কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন শিক্ষার্থী, কৃষক এবং রোগীরা। কিন্তু বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শতশত মানুষ পারাপার হতে হচ্ছে ব্রিজটি। আমার ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ এই ব্রিজটি পারাপার করেন। ব্রিজটি বেশি ঝুকিপূর্ণ হওয়াতে কেনো গাড়ি চলাচল করে না। তবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যেই ব্রিজের ডিজাইন সম্পন্ন হয়েছে। প্রাক্কলন অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অনুমোদন পেলে নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মাজহারুল হক
Email: news.pratidinerbangladesh@gmail.com
ফোনঃ 01752-388928
প্রধান কার্যালয়ঃ লেভেল ১৫/এ, ১২ সোনারতরী টাওয়ার, বাংলামোটর, ঢাকা।
Copyright © 2025 প্রতিদিনের বাংলাদেশ. All rights reserved.