গোলাম কিবরিয়া পলাশ,
ময়মনসিংহঃ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় গ্রামের একমাত্র সড়কের অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অত্র অঞ্চলের লাখো মানুষজন। এ অঞ্চলের মানুষজনের ভোগান্তির শেষ নেই। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার ছাত্র/ছাত্রীসহ রোগী নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটাও একতে লাখো মানুষপর্যায়ে ভোগান্তির সৃষ্টি। জানা গেছে, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভূগঞ্জ টু পরানগঞ্জ সড়কটির চর হরিপুর কুঁড়ের পাড় বাজার হতে চর খরিচা হৃদয় মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বোররচর, পরানগঞ্জ, সিরতা ও চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়ন বাসিন্দাদের একমাত্র সড়ক। তাছাড়া ফুলপুর ও তারাকান্দা উপজেলার বেশীরভাগ মানুষজন এ সড়ক দিয়েই চলাচল করে আসছে। চার কিলোমিটার সড়কজুড়ে খানাখন্দ ও অসংখ্য ছোট বড় গর্তের কারণে দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ সড়কের পুরোপুরি সুফল পাচ্ছে না।
অভিযোগ ঠিকাদার ও এলজিইডির গাফিলতির কারণেই লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভূগঞ্জ পশ্চিম বাজারের মোড় থেকে বোররচর পর্যন্ত এলজিইডির ২০ কিলোমিটার সড়কের মাঝপথে চরঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের হরিপুর কুড়ের পাড় থেকে চর খরিচা হৃদয় মোড় পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার ও মেরামত কাজ শুরু হয়েছিল গত ২০২২ সালে।
এ নিয়ে এলজিইডির স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলী এনায়েত কবির ঠিকাদারের গাফিলতির দায় স্বীকার করে জানান, এরই মধ্যে টেন্ডার আহ্বানের পর নতুন ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ শেষ হলে মানুষের দুর্ভোগ থাকবে না বলে জানান এই নির্বাহী প্রকৌশলী। কবে নাগাদ নতুন করে কাজ শুরু হবে এবং কতদিনের মধ্যে শেষ হবে এই কাজের প্রশ্নে জানান- খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে। সরকারের ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে চার কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের এই কাজ পেয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাদিয়া অ্যান্ড সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ। আর এই প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।