বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
যুদ্ধের প্রস্তুতি না রাখাটা আত্মঘাতী: প্রধান উপদেষ্টা গ্রেপ্তারের ৫ মাস পর জামিন পেলেন চিন্ময় দাস দুর্গাপুরে বন্ধুর প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রদল নেতা আটক জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মানবিক করিডোর নিয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা করেনি সরকার : প্রেস সচিব অপু বিশ্বাস-শাওন-জায়েদ খান-নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে মামলা পুতুলের ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ, রিসিভার নিয়োগের অনুমতি ঢাকা পলিটেকনিকে তালা ঝুলিয়ে দিলেন শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় একদিনে নিহত ৫১ ফিলিস্তিনি পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ফরিদপুরে কলেজছাত্রীকে  হত্যার অভিযোগ

Reporter Name / ৫৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০২৪, ৭:২৮ অপরাহ্ন

ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ
যৌতুকের দাবীতে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্রী তানজিলা আক্তার তহেরাকে (২১) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী জিসান আহমেদের (২১) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তানজিলার বাবা সাবেক সেনা কর্মকর্তা তোবারেজ মোল্লা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোঃ সালাউদ্দিন। এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ই জুলাই)  সকালে জিসান আহমেদকে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
এর আগে বুধবার ( ১০ ই জুলাই)  রাত ১০ টার দিকে জিসান শহরতলীর গঙ্গাবর্দী এলাকার মারকাজ মসজিদের পাশের ভাড়া বাড়িতে তানজিলাকে পিটিয়ে আহত করে আত্মহত্যার চেষ্টা দেখিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে এমারজেন্সি বিভাগের ডা. লিটন গাঙ্গুলি তানজিলার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তাকে সার্জারি ওয়ার্ডের ভর্তি করে দেন। মেডিকেলে সার্জারি ওয়ার্ডের ৫ তলার বেডের দেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
নিহত তানজিলা আক্তার তহেরা ফরিদপুর সদরের ডোমরাকান্দি উত্তর পাড়া গ্রামের তোবারেজ মোল্লার মেয়ে। প্রায় ৫ মাস আগে প্রেমের সর্ম্পক করে সদরের পূর্ব গঙ্গাবর্দী এলাকার জাহিদ ফকিরের ছেলে জিসান আহমেদের ছেলের সাথে বিয়ে হয়।
তানজিলার বাবা তোবারেজ মোল্লা জানান, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য আমার মেয়ের উপর জিসান ও তার মা জবেদা বেগম নির্যাতন করতো। জিসানের মোটর সাইকেল দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আমাদের বাড়িতে পাঠিতে দিতো। আমার জিসানকে বিদেশে পাঠাবে বলে টাকা চেয়ে পাঠাতো আমার মেয়েকে দিয়ে। আমার মেয়েও এ বিষয়টাতে সায় দিতো না বলে গত দুই মাস আগে মেরে হাসপাতালে ভর্তি করে। তার সকল ডকুমেন্ট আমি থানায় জমা দিয়েছি।
তিনি আরো জানান, গত কাল রাত ৮ টার দিকে আমার মেয়ের সাথে কথা হয়। রাত ১২ টার দিকে আমার মেয়ের নাম্বার দিয়ে জিসানের এক বন্ধু ফোন করে বলে তানজিলা আত্মহত্যা করতে গেছিলো আমরা তাকে মেডিকেলে ভর্তি করেছি। আমরা রাতেই হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের নিথর দেহো পড়ে থাকতে দেখি। জিসান বা কাউকে আমরা তখন কাছে পাইনি।
 আমার মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিসান নেশাগ্রস্থ ছিলো। যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এ ঘটনার মেয়ের বাবা একটি অভিযোগ প্রদান করেছে। আমরা জিসানকে আটক করেছি। অনেকগুলো দিক বিবেচনা করে আমরা এগুচ্ছি। তবে এখনই এটিকে হত্যা বলতে পারছি না। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলা যাবে। আমাদের আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin