মোঃ শরিফুল ইসলাম ত্রিশাল:
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আমিরাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবনের দ্বিতীয় তলা এখন নেশাখোরদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত ৯২ নং আমিরাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন দ্বি-তলা ভবনের কাজ প্রায় অর্ধযুগ পূর্বে শুরু হয়। ভবনটির নীচতলার কাজ শেষ করলেও দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ হয়নি। দ্বিতীয় তলাটিতে কোন দরজা জানালা নেই এমনকি দ্বিতীয় তলার সিড়িতে উঠার প্রবেশ পথেও কোন সুরক্ষিত দরজা বা গেইটের ব্যবস্থা করেনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সিড়ি দিয়ে উপরে উঠলেই মলমূত্রের গন্ধে মনে হবে এটি একটি পাবিলক টয়লেট। বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী থাকলেও সন্ধ্যার পর তাকে বিদ্যালয়ের আঙিনায় দেখা যায় না। সেই সুযোগে দ্বিতলায় নেশাখোররা জমায় আড্ডা, চলে রাতভর অসামাজিক কার্যকলাপ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা এবং উত্তর পাশের পরিত্যক্ত কয়েকটি কক্ষে সন্ধার পর থেকেই নেশাখোরদের উৎপাত শুরু হয়। নেশাখোররা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের কিছু বলা যায় না। সেজন্য তারা বিদ্যালয়ের সিঁড়িতে গেট না লাগানোয় প্রধান শিক্ষক,দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীর দায়ীত্বে অবহেলাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শাহিনুর রহমান বলেন, আমি কিছুদিন যাবৎ দায়ীত্ব নিয়েছি। দায়ীত্ব নেয়ার পরই বিষয়টি প্রতিকারে প্রধান শিক্ষককে কয়েকবার অবগত করি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও তিনি কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না এমনকি তার এই দায়ভার এড়ানোর কোন সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেয়া আছে। আমি বিষয়টি জেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে জেনে দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এ বিষয়ে ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখন জানতে পারলাম। আমি দ্রুত বিট অফিসার পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।