নাম তার কামরুজ্জামান ছাত্র জীবন শেষ করে চাকরির জন্য দিক বিদিক ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে ক্লান্তি দূর করতে সংসার থেকে চাপ আসলো বিয়ে করতে চাকরির আশায় আশায় বিয়ে হয়ে গেল।চৌঠা আগস্ট শুরু করলো জীবন যুদ্ধের এক যুদ্ধ খেলা। সংসার চালাতে শুরু করল কখনো ঘরের কোণে কখনো অন্য বারান্দায় কখনো অন্য গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রাইভেট । কি করাযাবে রোজগার তো করতে হবে তাও থেমে নেই কিছু কিছু নিজের কৃষিকাজ আবার প্রাইভেট এর দুইয়ের মাঝে চলে আসলো ফুটফুটে সন্তান তবু ক্ষান্ত হয় নাই কামরুজ্জামান। ছুটে চলেছে চাকরির পিছনে এভাবে বেশ কিছুদিন চলে তার । কি আর করা যাবে নিজের জীবন শেষ হয়ে গেল বুকের উপর যেন পাহার সমান পাথর চাপা ।
শুরুহল মেধা নিয়ে আলোচনা ,আস্তে আস্তে সরগরম হয়ে গেল পুরো জাতি এবং মানচিত্রের মাঝে চলে আসলো তরুণ প্রজন্ম ছাত্র সমাজ মেধায় ,মেধায় দাবিতে রূপ নিল স্বৈরাচারিনী পতনের একতরফা দাবি। বেজে উঠল মানচিত্র রক্ষা করার ডাক। মেধাবী এই কামরুজ্জামান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের এবং বাংলাদেশের মানচিত্রের সফল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের মেধাবী মানচিত্র সমান ছাত্র সমাজের ডাক সে যেন কান পেতে শুনতে পেলেন চলে আসো রাজপথে হে কামরুজ্জামান। এক কাপড়ের বেরিয়ে গেল কামরুজ্জামান ঢাকার রাজপথে আন্দোলন দাবী আদায়ের স্লোগানে স্লোগানে তাহার পদদলী হয়ে গেল রাজপথ রক্তে রঞ্জিত। ছাত্র সমাজ পিছিয়ে নেই তো আমিও বেঁচে থাকার কামরুজ্জামান নযই এই বলে ভীরের বেশে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে চেয়েছিল সামনের দিকে ঠিক তখনই দক্ষিণ পাশ থেকে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে দুহাত উঁচু করে যখন সহযোগী ছাত্রসমাজকে সামনে অগ্রসর হতে আহবান করলেন ঠিক সেই সময় স্বৈরাচারিনীর নর পিসাস নির্দয়া ভারতীয় দালাল পুলিশ জানুয়ারের বন্দুক থেকে বুলেট ভঠবট করে কামরুজ্জামানের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করে আঘাতের মাধ্যমে রাজপথে ফেলে দিল আর কামরুজ্জামান শাহাদাত বরণ করল বাংলার মানচিত্র কে বুঝিয়ে দিল ছাত্রসমাজ কখনোই অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না।
চৌঠা আগস্ট এরপর থেকে কামরুজ্জামানের বাড়িতে আর ফোন আসে না কামরুজ্জামানের সহধর্মিনী তার অনাথ বাচ্চাদের কে নিয়ে এদিক সেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে চোখের পানি যেন শুকিয়ে গিয়েছে । তারা চিৎকার করে বুঝতে পারেনি কি থেকে কি হয়ে গেলা কিন্তু যখন কামরুজ্জামানের মরদেহ শহীদি মর্যাদায় চলে আসে তার নিজের জন্ম ভূমিতে এলাকা চলে সুকের মাতম। সমাদৃত হয় তার নিজ গোরস্থানে। এলাকার জনতা এবং দেশ দেশান্তর থেকে ছুটে আসে ছাত্র সমাজ তার জন্য দোয়া করা ছাড়া আর যেন কিছু নেই শুকিয়ে গেল চোখের পানি। অমর হয়ে থাকো এই শহীদ কামরুজ্জামান আমরা তোমাদের ভুলবো না।