সোহেল আহাদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় বাতিল মন্ত্রীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছে শহিদ মাওলানা হোসাইন আহাম্মদের বড় বোন তানিয়া আক্তার। সাবেক গৃহায়ণ ও গণপুর্ত মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।

২০২১ সালের ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার টিএ রোডে সংঘর্ষের সময় মাওলানা হুইসাইন আহম্মেদ হত্যার ঘটনায় তার বড় বোন তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে শুক্রবার এ মামলাটি দায়ের করেন। হুসাইন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জামিয়া ইউনুসিয়া মাদারাসার ছাত্র ও আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ গ্রামের বাসিন্দা। মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম. জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য বাতিল হওয়া সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন শোভন, সাবেক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আবু মুছা আনছারি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমানসহ (মাহবুব আলম), ভিপি হাসান সায়োর, জেলা স্বেচ্ছাসেব লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা আওয়ামীলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত, দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন,

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান আরিফ, শেখ মঞ্জুর মওলা ফারানী, নাজমুল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আলী আজম, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রানা, জেপি জুম্মান, জাকির হোসেন, মমিন মিয়া, হামদু মিয়া, এমরান হোসেন মাসুদ, আপন মিয়া, মজিবুর রহমান বাবুল, আরিফুল ইসলাম ও অন্তর খানসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই-তিনশ’ লোককে আসামি করা হয়। মামলায় তানিয়া আক্তার অভিযোগ করেন, ২০২১ সনে মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে আন্দোলন কর্মসূচির সময় আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় হুসাইনের মাথার ডানপাশে গুলিবিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সময় পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং দমন-নিপীড়নের ভয়ে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সোহেল আহাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া