মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজ উপর হামলার প্রতিবাদে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সিভিল সার্জনরা চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব: প্রধান উপদেষ্টা পিলখানা বিদ্রোহ বিডিআরের ৪০ জওয়ানের জামিন অবশেষে চেনাব নদীর পানি ছাড়ল ভারত খেলাফত মজলিস ময়মনসিংহ মহানগর শাখা কমিটি গঠন ড্রাইভার শুভ ও নগর পরিকল্পনাবিদের বেপরোয়া ঘুষ বানিজ্য গফরগাঁওয়ে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে এক জনের মৃত্যু সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে: রিজভী নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনও কার্যক্রম ঢাকা রেঞ্জে চলবে না: ডিআইজি
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ

Reporter Name / ২৬ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:০৫ পূর্বাহ্ন

নিজস্ব  প্রতিবেদক:  সমরনায়ক জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ বৃহস্পতিবার। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার অভ্যুত্থানে ওই বছরের মধ্য আগস্ট থেকে চলা টালমাটাল পরিস্থিতির অবসান হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনে ১৭ বছর পর এবার পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দিবসটি পালন করছে বিএনপি। যদিও ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার দিনটিকে সরকারিভাবে পালন করছে না।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ক্ষমতায় আসা খন্দকার মোশতাক সরকারকে উৎখাতে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর পাল্টা অভ্যুত্থান করা হয়। গৃহবন্দি করা হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরউত্তম সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানকে। দেশ সরকারহীন হয়ে পড়ে। খন্দকার মোশতাকের কাছ থেকে পদোন্নতি আদায় করে নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন খালেদ মোশাররফ।

এরই ধারাবাহিকতায় ৬ নভেম্বর রাতে জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে সৈনিকরা। জাসদ নেতা কর্নেল আবু তাহেরের অনুগত বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা এ সময় জেনারেল জিয়াকে সমর্থন জানিয়ে দলটির অনুসৃত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের চেষ্টা করে। তবে জিয়াউর রহমান সে পথে না গিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন।

এতে চার দিনের শূন্যতার অবসান হয়। ঢাকার রাজপথে সিপাহি এবং জনতা একসঙ্গে নেমে আসে। সেনা ট্যাঙ্কে ফুলের মালা পরিয়ে জনগণ সিপাহি বিপ্লবকে অভিনন্দন জানায়। বেতারে ‘আমি জিয়া বলছি’ ভাষণ শুনতে পায় দেশবাসী। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিজেকে সুসংহত করেন একাত্তরের ২৫ মার্চের গণহত্যা প্রতিরোধে বিদ্রোহ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া মেজর জিয়া। ৭ নভেম্বরের পর তিনি সামরিক শাসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বিপ্লব ও সংহতি দিবস বাতিল করে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় ফিরে আবারও দিবসটি সরকারিভাবে পালন শুরু করে। ২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সরকারিভাবে পালিত হয়। তবে পরের বছর ছুটি ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ফিরে ২০০৯ সাল থেকে দিবসটি ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস’ নামে পালন শুরু হয়।

গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগ আমলের আটটি দিবস বাতিল করলেও, ৭ নভেম্বর সরকারিভাবে পালন হচ্ছে না। দিবসটি উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মী।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাণীতে বলেছেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। এই পট পরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়।

পৃথক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বরের চেতনায় বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।

বিএনপির কর্মসূচি

দিবসটি উপলক্ষে আজ ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

জামায়াতের আয়োজন

যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। দিবস উপলক্ষে আজ আলোচনা সভা করবে দলটি। গতকাল জামায়াত আমির বিবৃতিতে বলেছেন, পঁচাত্তরের ৭ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের পাল্টা অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফেরানোর ষড়যন্ত্র দেশপ্রেমিক সিপাহি ও জনতা প্রতিহত করে। একইভাবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা তাজা প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে দেশকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদমুক্ত করেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin