রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে রূপগঞ্জে যুবদলের লিফলেট বিতরণ রূপগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত ও হুমকির শিকার ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান সোসাইটির আত্মপ্রকাশ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, প্রতিবাদে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ রূপগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের সবংর্ধনা ও কলেজের উদ্বোধন অপরাধমুক্ত তরুণ সমাজ গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম — মিজানুর রহমান সেলিম রূপগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মসজিদের নামে সাইনবোর্ড স্থাপন, উত্তেজনা জুলাই বিপ্লবের শহীদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে- বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান কাঞ্চন পৌরসভাকে মাদকমুক্ত গড়ার স্বপ্ন  দেখেন সানাউল্লা মান্নান সানি   তারেক রহমানের নির্দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করলেন ছাত্রদল নেতারা
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

আজ কুষ্টিয়ায় সংঘটিত হয় সর্ববৃহৎ গেরিলা যুদ্ধ

Reporter Name / ৪২ Time View
Update : বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:২৬ অপরাহ্ন

মোঃ জিয়াউর রহমান স্টাফ রিপোর্টারঃ

১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর কুষ্টিয়ায় সর্ববৃহৎ গেরিলা যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল বর্তমান কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার শেরপুর মাঠ নামক স্থানে। এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন কুষ্টিয়া ই-৯ এর গ্রুপ কমান্ডার মিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুষ্টিয়া জেলা ইউনিট কমান্ডারের সহকারী ইউনিট কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২৫ নভেম্বর রাতে আফতাব উদ্দিন প্রায় একশ সুসজ্জিত মুক্তি বাহিনীর একটি দল নিয়ে শেরপুর সংলগ্ন সেনপাড়ায় অবস্থান করেন। পাক হানাদার বাহিনীরা সংবাদটি তাদের দোসরদের মাধ্যমে পেয়ে যায় এবং অত্যন্ত পরিকল্পিত ভাবে ওই এলাকার কাছে দেড়শ’ জনের সুসজ্জিত একটা দল নিয়ে ২৫ নভেম্বর মধ্যরাতে শেরপুরের নিরীহ গ্রামবাসীর ঘরে আগুন ধরিয়ে বেপরোয়াভাবে গুলিবর্ষণ শুরু করে। মুক্তিবাহিনী পাক হানাদারদের উপস্থিতি ও অবস্থান জানতে পেরে বর্তমান মিরপুর থানার চিথলিয়া এবং দৌলতপুর থানার শেরপুরের মধ্যবর্তী স্থানে সাগরখালী নদীর তীরে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করে এবং রাত অনুমান ৩টার দিকে মুক্তিবাহিনী পাক হানাদার বাহিনীকে মোকাবিলা করার জন্য ক্রমান্বয়ে অগ্রসর হতে থাকে।

২৬ নভেম্বর ভোর ৫টায় উভয়পক্ষ পরস্পরের মুখোমুখি হয়। ৬ ঘণ্টা তুমুল যুদ্ধের পর পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং ৬০ জন পাক সৈন্য নিহত হয়। অন্যদিকে শেরপুর গ্রামের হাজী মেহের আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। একই গ্রামে হীরা ও আজিজুল নামে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা গুরুত্বর আহত হন। এছাড়াও ওই যুদ্ধের কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান, মইন উদ্দিন, আবদুল জব্বার, হায়দার আলীসহ ২০-২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।

কুষ্টিয়া জেলায় সংঘটিত সর্ববৃহৎ এই গেরিলা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর পরাজয় এবং ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির কারণে দৌলতপুর ও মিরপুর থানার একটা বিরাট এলাকা মুক্তি বাহিনীর অবস্থান আরো সুদৃঢ় হয় এবং পাহাড়পুর গ্রামে একটি শক্তিশালী মুক্তি বাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করা সম্ভব হয়। যার ফলে ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনীর কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খানের নেতৃত্বে ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা আমলাকে মুক্ত করে মিরপুর থানায় (পুলিশ ফাঁড়ি) জাতীয় সঙ্গীত ও গান স্যালুটের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। এভাবেই কুষ্টিয়া জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় সুচিত হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin