বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ব্যবসায়িক ৫০ শতাংশ দিতে অস্বীকৃতি মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

Reporter Name / ৩০ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ, ২০২৫, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ৫০ শতাংশ দিতে রাজি না হওয়ায় জুলাই আন্দোলনে নিহত শহীদের নামে করা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ও তার ভাইকে হয়রানি করা হচ্ছে। এর আগেও তাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আর এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপি এর ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক বাউন্ডারী শহিদের বিরুদ্ধে। মুূলত তাদের চাঁদা না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সেই এলাকায় জুলাই আন্দোলনে মাষ্টারবাড়ীতে শহীদ তোফাজ্জল হোসেন নামে একজন নির্মাণ শ্রমিক হত্যা মামলায় তাদেরকে আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও তাদের নামে এই বাউন্ডারী এর আগেও দুটি মামলা দিয়ে হয়রানি করেছিল।বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ভুক্তভোগী। সেখানে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আবু সাঈদ সরকার। ভুক্তভোগী আবু সাঈদ সরকার ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হরিরবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুছ ছালাম সরকারের ছেলে। এই মামলায় আরেক আসামী তারই ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম সরকার।

তিনি বলেন, আমার ভাই সাইফুল ইসলাম সরকার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভালুকা উপজেলা নেতা ছিল। এখন ভালুকা যুবদলের স্বক্রিয় নেতা। সাইফুল গেল ২৪ এর ছাত্র জনতার আন্দোলনে জীবন বাজি রেখে অংশ গ্রহণ করে। সেই সময় মাষ্টারবাড়ীতে তোফাজ্জল হোসেন নামে একজন নির্মাণ শ্রমিক শহীদ হন। আমরা শহীদ তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে রাজপথ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব ভূমিকা পালন করি। কিন্তু অত্যান্ত দুঃখের বিষয়, তোফাজ্জল হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত ২১ মার্চ একটি মামলা হয়েছে। সেই মামলায় আমার ছোটভাই যুবদল কর্মীকে ইচ্ছা করেই ফাঁসানো হয়েছে। আর এই কাজটি করেছে ওয়ার্ড যুবদল নেতা শরিফ যে কিনা বাউন্ডারি শহিদ ও মোর্শেদ গ্রুপের ক্যাডার।

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই সাইফুল ইসলাম রাইদা কালেকশন লিমিটেডের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা থেকেই উপজেলা বিএনপি এর ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মোর্শেদ আলম ও যুগ্ম আহ্বায়ক বাউন্ডারী শহিদকে ৫০ শতাংশ ব্যবসার লভ্যাংশ না দিলে তারা ফ্যাক্টরী থেকে কোন প্রকার মালামাল ও ময়লা পর্যন্ত বাহির করতে দিবেনা বলে হুমকি দেয়। আমার ভাই তাদের বখরা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। সেই কারণেই মুলত গত ২১ মার্চ আমার ভাইয়ের নামে মামলা করে।

ভুক্তভোগী বলেন, এর আগেও একাধিক ব্যক্তি বাদি হয়ে একাধিক মামলা করেছে এই তোফাজ্জল হত্যা বিষয়ে যার একটিতেও সাইফুল ইসলামের নাম ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে সাইফুলের নাম আসায় আমরা অবাক হয়েছি। এমতাবস্থায় আমি আপনাদের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দলের নীতি নির্ধারক ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যারেন কাছে আকুল প্রার্থনা চাঁদাবাজ ও আধ্যিপত্যের মহানায়ক বাউন্ডারী শহিদ ও মোর্শেদ আলমের রোষানল থেকে যেন সাধারণ কর্মীরা রেহাই পাই ও শহীদ তোফাজ্জল হোসেনের হত্যাকারী প্রকৃত আসামীদের বিচার হয়। এখন আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম কষ্টের মধ্যে দিনাতিপাত করছি। সন্ত্রীদের হামলার ভয়ে নিজের বাড়িতে থাকার সাহস পাচ্ছি না। আমাকে ও আমার ছোট ভাইকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা হচ্ছে।

তিনি জানান, গত ১৫ নভেম্বর ফ্যাক্টরী থেকে ময়লার গাড়ী বাহির করতে গেলে শহীদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় চক্রটি। তাদের একজনের হাত কেটে ফেলে ও অন্য একজনের মাথায় কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে যায়। বাউন্ডারী শহীদের সন্ত্রাসীরা ১৫টি মটর সাইকেল ও একটি দোকান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে। এরপরও পুনরায় অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করতে আসার সময় যৌথ বাহিনী অস্ত্র-সস্ত্রসহ ৯ জনকে থানায় সোপর্দ করে যা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশনে প্রচার হয়েছে এবং থানায় মামলাও হয়েছে। এছাড়াও গত ১২ ডিসেম্বর ফ্যাক্টরী থেকে ময়লার গাড়ী বাহির করার পর সন্ত্রাসী বাহিনীদের দিয়ে তাহারা ছিনিয়ে নিয়েছে।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শেও রাজনীতি করার কারণে গত ১৬ বছর আমরা নানান নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছি। একাধিক দফায় আমার বাড়িতে হামলা হয়েছে। আমার ছোট ভাই মো: সাইফুল ইসলাম সরকার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভালুকা উপজেলা নেতা ছিল। এখন ভালুকা যুবদলের স্বক্রিয় নেতা। জুলুমবাজ সরকার ভালুকা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে একাধিক রাজনৈতিক মামলা দিয়েছিল। সেখানে প্রত্যেকটি মামলায় আমার ভাই সাইফুল ইসলামকে আসামী করা হয়েছে। তার নামেও একাধিক রাজনৈতিক মামলা করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin