মোঃ জিয়াউর রহমান স্টাফ রিপোর্টার:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় এক বিএনপি নেতার বাড়ির ফটক ধাক্কাধাক্কি ও কয়েকটি গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ফটক না খোলায় তারা ওই বিএনপি নেতাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি তাজা গুলি ও পাঁচটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দূর্বাচারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতার নাম শামীম টোকেন। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
জানা গেছে, শামীম টোকেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সার্চ কমিটির সদস্য। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত এ কে এম ফজলুল হকের ছেলে।
শামীম টোকেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে আমি ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা বাড়িতে এসে গেটে ধাক্কা দিয়ে খুলতে বলে। আমি গেট না খুললে তারা বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। তারা বকাবকি করে কিছুক্ষণ পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘বিএনপি করার কারণে এর আগে চারবার আমার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমি চরমভাবে নির্যাতিত। এই ঘটনায় কয়েকজনকে সন্দেহ করছি। পুলিশকে সে তথ্য দিয়েছি। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
টোকেনের বোন দৌলতআরা ফেরদৌস লাকী বলেন, ‘রাত ১টা ৪৫ মিনিটের ঘটনার শুরু। আমি ও আমার মেয়ে জেগে ছিলাম। ঢাকায় ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা শেষ করে বিছানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় গুলির শব্দ শুনতে পাই। চারদিক থেকে তারা আমাদের বাড়ি ঘিরে নিয়েছিল। কাল ওরা আমার ভাইকে মেরেও ফেলতে পারত। আমিও ঢাকায় থাকি। ভাই পরিবার নিয়ে গ্রামেই থাকেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার বলেন, গুলির ঘটনায় দল থেকেও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, বিএনপি নেতা টোকেনের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা পাঁচটি গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি তাজা গুলি ও পাঁচটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির পর ওই এলাকায় বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিকভাবে জটিলতা রয়েছে। সবকিছু মাথায় রেখে তদন্ত চলছে।