ইরানের সঙ্গে সবক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া। সোমবার (২১ অক্টোবর) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই ঘোষণা দেন। সাম্প্রতিক সময়ে তেহরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে মস্কো। পেসকভ বলেন, ‘রাশিয়া নিঃসন্দেহে ইরানের সঙ্গে সবক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে প্রস্তুত। ইরান আমাদের অংশীদার, এবং আমাদের সম্পর্ক খুব দ্রুত ও ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ‘অতিরিক্ত চাপ’ সৃষ্টি করছে, যার ফলে পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত জটিল’ হয়ে উঠেছে।
মস্কো আগেও ইরানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথভাবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার নিন্দা করেছিল রাশিয়া। ওই হামলার উদ্দেশ্য ছিল তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। তবে ইরান দাবি করে, তারা কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে না।
এদিকে, সোমবারই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন বিশেষ দূত তেহরানে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলি লারিজানির সঙ্গে বৈঠক করবেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগে, লারিজানি মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের হাতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির বার্তা পৌঁছে দেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুতিন ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান দুই দেশের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেন। যদিও ওই চুক্তিতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনো ধারা নেই।
রাশিয়া জানায়, তারা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তেহরানকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। অপরদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ইরান রাশিয়াকে ড্রোন দিয়েছে।এছাড়া, গত মাসে রুশ রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক জ্বালানি সংস্থা ‘রোসাটম’ ইরানের সঙ্গে ২৫ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করেছে। চুক্তির আওতায় ইরানে চারটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ সংকটে থাকা ইরানের একমাত্র কার্যকর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি রাশিয়া নির্মিত, যা দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর শহরে অবস্থিত।
সূত্র: রয়টার্স।