নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এলাকায় দীর্ঘদিন সাংগঠনিকভাবে সক্রিয় থাকা এই রাজনৈতিক দলটির সমর্থক সাধারণ ভোটারদের দাবি, এবার ভোটের মাঠে “নীরব বিপ্লব” ঘটানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।যদিও সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি, তবে মাঠ পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণা, জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজেদের অবস্থান শক্ত করে তুলছে জামায়াত। আসনটিতে প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরই তীব্র। তবে এবারের নির্বাচনে ‘ভোটের কৌশল’ এবং ‘সংগঠনভিত্তিক ভোট ব্যাংক’ বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
ভোটারদের প্রত্যাশা ও বক্তব্য
ফুলপুর উপজেলার কয়েকজন সাধারণ ভোটার জানান, এলাকার সামাজিক, ধর্মীয় ও দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সংগঠনে জামায়াতপন্থী স্বেচ্ছাসেবক, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও তরুণদের ভূমিকা দীর্ঘদিন ধরেই দৃশ্যমান।
অনেকের মতে, প্রকাশ্যে বড় ধরনের শোডাউন না করলেও নিচু স্বরে সংগঠনের বিস্তার ও ভোটার যোগাযোগ তাদের শক্তির জায়গা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন,
“এই এলাকায় জামায়াতের সাংগঠনিক ভিত্তি আগের থেকে বেশি মজবুত। মানুষ চুপচাপ কথা বলে, কিন্তু ভোট দেওয়ার সময় দেখা যাবে আসল শক্তি কে।”
অন্যদিকে তরুণ ভোটারদের একটি অংশ মনে করেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হতাশার মধ্যে বিকল্প ধারার নেতৃত্বের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে।
অন্যান্য দলগুলোর অবস্থান
এ আসনে বর্তমানে বিএনপি ও বাংলাদেশ খেলাফতসহ অন্যান্য দল মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
বিশেষ করে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী মোতাহার হোসেন তালুকদার এবংবাংলাদেশ খেলাফত মজলিস প্রার্থী মুফতি মাহমুদউল্লাহ দুজনই এলাকায় সুপরিচিত। তাই ভোটের লড়াই বহুমাত্রিক হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একজন সিনিয়র রাজনৈতিক বিশ্লেষক জানান,
“ময়মনসিংহ-২ এলাকা ঐতিহাসিকভাবে ধর্মীয়-রাজনৈতিক ভাবধারার প্রতি সংবেদনশীল। জামায়াত যদি সঠিক প্রার্থী এবং সঠিক সংগঠন পরিচালনা করতে পারে, তাহলে ভোটের মাঠে তারা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।”
কেন ‘নীরব’?
জামায়াত আনুষ্ঠানিক বড় সমাবেশ বা প্রদর্শনী করার চেয়ে ঘরে ঘরে যোগাযোগ, মসজিদভিত্তিক আলাপ, সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন মাধ্যমে সমর্থন বাড়ানোর কৌশল অনুসরণ করে থাকে। এজন্য অনেকেই এটিকে ‘নীরব রাজনৈতিক উপস্থিতি’ বলে উল্লেখ করেন।