রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে রূপগঞ্জে যুবদলের লিফলেট বিতরণ রূপগঞ্জে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত ও হুমকির শিকার ভালোবাসার কুঁড়ে ঘর স্বেচ্ছায় রক্তদান সোসাইটির আত্মপ্রকাশ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, প্রতিবাদে জেলা যুবদলের বিক্ষোভ রূপগঞ্জে কৃতি শিক্ষার্থীদের সবংর্ধনা ও কলেজের উদ্বোধন অপরাধমুক্ত তরুণ সমাজ গঠনে খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম — মিজানুর রহমান সেলিম রূপগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মসজিদের নামে সাইনবোর্ড স্থাপন, উত্তেজনা জুলাই বিপ্লবের শহীদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন করতে হবে- বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান কাঞ্চন পৌরসভাকে মাদকমুক্ত গড়ার স্বপ্ন  দেখেন সানাউল্লা মান্নান সানি   তারেক রহমানের নির্দেশে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করলেন ছাত্রদল নেতারা
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

শেষ ওভারের হ্যাটট্রিক নাটকীয়তায় শ্বাসরুদ্ধকর জয়

Reporter Name / ৮৮ Time View
Update : শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩, ৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ৬ রান। আফগান পেসার করিম জানাতের প্রথম বলে চার মেরে লক্ষ্য আরও সহজ করে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে ঠিক পরের তিন বলেই উইকেট হারিয়ে করিমকে হ্যাটট্রিক উপহার দেন টাইগাররা। কিন্তু পঞ্চম বলে আবারও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের শ্বাসরুদ্ধকর জয় উপহার দেন শরিফুল ইসলাম।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় স্বাগতিকরা।আফগানিস্তানের দেওয়া ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৩০ রানের মধ্যেই রনি তালুকদার ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর ৩৯ রানের মাথায় ধীরগতির ইনিংস খেলে বিদায় নেন লিটন দাসও। ফলে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় টাইগাররা।

দলীয় ৫ রানে আফগান পেসার ফজল হক ফারুকির বলে বোল্ড আউট হন রনি তালুকদার। বিদায়ের আগে ৫ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ৪ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর তিনে নেমে নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্তও। মুজিব উর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে বিদায়ের আগে ব্যক্তিগত ১৪ রান করেন তিনি।

এরপর ক্রিজে এসে লিটন দাসের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সাকিব আল হাসান। তবে দলীয় ৩৯ রানের মাথায় আজমতউল্লাহর বলে রশিদ খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বসেন লিটন। ১৯ বলে ধীরগতির ইনিংসে ১৮ রান করেন দেশসেরা এই ব্যাটার।

এরপর ক্রিজে এসে অধিনায়ক সাকিবকে সঙ্গ দেন তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। মাঝে ৭.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪২ রানে থাকার সময় হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। তবে কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার পর তা থেমে যায়। পরে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিব-তাওহিদ জুটি দলকে এগিয়ে নিয়ে যান।

কিন্তু দলীয় ৬৪ রানের মাথায় বিদায় নেন সাকিব। ফরিদ আহমেদের বলে আক্রমণ চালাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের কাছে করিম জানাতের হাতে ক্যাচ দেন টাইগার ক্যাপ্টেন। বিদায়ের আগে ১৭ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ১৯ রান করেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

সাকিবের বিদায়ের পরই বাংলাদেশের ইনিংসের চেহারা পাল্টে যায়। পঞ্চম উইকেটে তাওহিদ হৃদয় ও শামিম পাটওয়ারী দলকে জয়ের পথে রাখেন। সাবলীল ব্যাটিং করে তারা দুজনে মিলে গড়েন ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি।

তবে ১৮তম ওভারে দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যান শামিম। আফগান লেগ স্পিনার আদিল রশিদের বলে গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটার। এরপর মেহেদি মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন হৃদয়।

ফলে শেষ ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৬ রান। আফগান পেসার করিম জানাতের প্রথম বলে চার মেরে লক্ষ্য আরও সহজ করে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে আক্রমণ চালাতে গিয়ে পরের বলেই নবীর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। বিদায়ের আগে ৬ বলে মূল্যবান ৮ রান করেন এই অলরাউন্ডার।

তার বিদায়ের পরের দুই বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ। যার সুবাদে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই পেস অলরাউন্ডার। কিন্তু পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বাংলাদেশের শ্বাসরুদ্ধকর জয় উপহার দেন শরিফুল ইসলাম।

একপ্রান্ত আগলে রেখে ৩২ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো ৪৭ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন তাওহিদ হৃদয়। দলকে জয় পাইয়ে দিতে বড় অবদান রাখায় তিনিই ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।

আফগানদের হয়ে বোলিংয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন করিম জানাত। এছাড়া ১ টি করে উইকেট পান রশিদ খান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ফজল হক ফারুকী, মুজিবুর রহমান ও ফরিদ আহমেদ।

এর আগে দিনের শুরুতে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশের কাপ্তান সাকিব আল হাসান। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, তা ইনিংসের শুরুতেই প্রমাণ করেন টাইগার বোলাররা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট তুলে নিয়েছিল স্বাগতিকরা।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান আফগান ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই। তবে পরের বলেই বাঁহাতি এই ব্যাটারকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ৮ রানে ফেরেন হার্ডহিটার এই ব্যাটার।

জাজাইকে ফেরানোর পরের ওভারেই আরেক আফগান ওপেনার গুরবাজকে ফেরান তাসকিন। চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে তাসকিনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের তালুবন্দি হন তিনি। ১১ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন ডানহাতি এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

তিনে ব্যাট করতে নামা ইবরাহিম জাদরান বিদায় নেন জাজাইয়ের মতো। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে হাঁকান ছক্কা তিনি। তবে শরিফুল ইসলামের পরের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে ৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইবরাহিমকে পাঁচবার আউট করলেন যুব দলের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই পেসার।

এরপর চারে ব্যাট করতে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি করিম জানাত। দলীয় ৫২ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাজমুল হাসান শান্তর তালুবন্দি হন তিনি। ৯ বলে ৩ রান করে বিদায় নেন এই পেস অলরাউন্ডার। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান মোহাম্মদ নবী।

পঞ্চম উইকেটে নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলের সংগ্রহ সেঞ্চুরির কাছাকাছি নিয়ে যান আফগান সাবেক অধিনায়ক নবী। কিন্তু চতুর্দশ ওভারে অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের বলে উইকেটের পেছনে তুলে দেন নাজিবউল্লাহ। দারুণ ক্যাচে ২৩ রানে আফগান ব্যাটারকে বিদায় করেন লিটন।

এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন নবী। শেষ তিন ওভারের ঝোড়ো ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৫৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় আফগানিস্তান। দলের পক্ষে ৪০ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন নবী। এছাড়া ১৮ বলে ৪ ছক্কায় ৩৩ রানের ক্যামিও এক ইনিংস খেলেন আজমতউল্লাহ।

বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন সাকিব। এছাড়া ১ টি করে উইকেট পান নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি মিরাজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin