তুরস্কের কাছ থেকে পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোন কিনতে বড় ধরনের চুক্তি সই করেছে সৌদি আরব। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান যখন তার দেশের ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, তখন দেশটির ইতিহাসের বৃহত্তম এই সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।
মঙ্গলবার সৌদি আরবের বন্দরনগরী জেদ্দায় এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়। পারস্য উপসাগরীয় তিন দেশ সফরের প্রথম পর্যায়ে সোমবার প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান প্রায় ২০০ ব্যবসায়ীর এক শক্তিশালী প্রতিনিধিদল নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করেন। তুর্কি প্রতিরক্ষা কোম্পানি বাইকারের সঙ্গে মঙ্গলবার সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে ড্রোন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান উপস্থিত ছিলেন।
সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান আল সৌদ এক টুইটার পোস্টে জানিয়েছেন, তার দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে তুরস্কের কাছ থেকে ড্রোন কেনার চুক্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে বাইকারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হালুক বাইরাকতার এই চুক্তিকে তার দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিরক্ষা ও বিমান রপ্তানির চুক্তি বলে অভিহিত করেছেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তার শক্তিশালী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল নিয়ে সৌদি আরবের পর কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন বলে কথা রয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে দেশটির ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হতক্যাণ্ডের পর দুদেশের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটেছিল। তবে সে সম্পর্কে এখন উষ্ণতা ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।