রফিকুল ইসলাম রন্জু জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম পর্যায়ে অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপির) কাজ শুরুতেই আটটি প্রকল্পের মধ্যে ২টি প্রকল্প নির্দিষ্ট সময় ২৬ নভেম্বর মাসে উদ্বোধন করলেও গত ১১ ডিসেম্বর রবিবার ৮টি প্রকল্পের একটিতেও কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৫৫ টি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৮শ ১৪ জন শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা। দৈনিক ৪০০ টাকা হারে প্রতি শ্রমিক মজুরি পাবেন। প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৪ কোটি ৫০ লাখ ২৪ হাজার টাকা, ননওয়েজ কষ্ট প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, জামালপুরের ইসলামপুর ১০নং গাইবান্ধা ইউনিয়নে অতি দরিদ্রদের জন্য ২০২২ সালের নভেম্বর মাসের শ্রমিক নির্বাচন করে শ্রমিকদের জব কার্ড বিতরণ করে ২৬ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করার কথা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইসলামপুর উপজেলা গাইবান্ধা ইউনিয়নের ৮টি প্রকল্পের ৩২১ শ্রমিক প্রতিদিন ৪০০ টাকা হারে মজুরি বাবদ ১ লাখ ২৮ হাজার ৪শ টাকা ৪০ কর্ম দিবসে ৫১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ওই প্রকল্পের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৮টি প্রকল্পের মধ্যে কার্ডধারী কোন শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ৪০নং প্রকল্প বটচর পাকা রাস্তা বাদশা বাড়ি হয়ে ভায়া মসজিদ পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ গত ২৬ নভেম্বর রাস্তার কাজ শুরু করেছে বলে জানা যায়। ৪৩ নং প্রকল্প বলিদাপাড়া মানিকের বাড়ির নিকট পাকা রাস্তা হইতে গাইবান্ধা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা পূণ:নির্মান। পর্যায়ক্রমে ৪১,৪২,৪৪,৪৫,৪৬ ও ৪৭ নং প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু করেনি।
এ ব্যাপারে ৪৩ নং প্রকল্পের সভাপতি মোছা: রিপা বেগমকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, আমি কোন প্রকল্পের সভাপতি না। রাস্তায় মাটি কাটার কথা বললে তিনি জানান কে বা কারা ফেলছে আমি জানি না।এদিকে ৫ নং প্রকল্প বরুল ইটের রাস্তা হতে মুখলেছের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামত ১৫৩ জন শ্রমিকের কাজ করছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে। অন্যান্য প্রকল্পের সভাপতিদের ফোনে জিজ্ঞেস করলে সংশ্লিষ্ট জানান রাস্তার দু’পাশে সরিষা ও ধান থাকায় মাটি পাওয়া যাচ্ছে না বলে রাস্তায় মাটিকাটা বিলম্ব হচ্ছে। ওই ইউনিয়নের দায়িত্ব প্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার মামুনুর রশিদকে ফোনে মাটি কাটার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, রাস্তায় মাটি কাটা হলে বিল পাবে মাটি না কাটলে বিল হবে না।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু, কর্মসূজন কর্মসূচি প্রকল্পের কাজের বিষয়ে জিজ্ঞেসা করলে তিনি জানান, কাজ সঠিকভাবে বুঝে না পেলে বিল আটকে যাবে।