খুঁজো তুমি সেই মেয়েটি যে বড় হইছে গাঁয়,
সারা দিনমান ঘুরেফিরে গাছ গাছালির ছায়।
গাঁ-এর মেয়ে গাঁয়েই থাকে ভালোবাসে গাঁ
লোকের চোখে গাঁয়ের মেয়ে সবার যেনো মা।
সহজ সরল গাঁয়ের মেয়ে পোশাকের নাই ঢং
চাল চলনে সাদামাটা নাই তামাশার রং।
আলতা কুমকুম লাল ফিতা গাঁয়ের মেয়ের সাজ
চুল কাটেনা ছোট্ট করে আছে অনেক লাজ।
রূপের বড়াই করেনা সে রূপের আলো জ্বেলে
গাঁয়ের পথে হাঁটে না গো মাথার ওড়না ফেলে।
লম্বা চুলে বেণী করে বসে উঠোন কোণে
মায়ের ডাকে সাড়া দেয় সে প্রতি ক্ষণে ক্ষণে।
মায়ের প্রতি অসীম শ্রদ্ধা বাবার প্রতি টান,
গাঁয়ের মেয়ের বড় গুণ ছড়ায় গুণের ঘ্রাণ।
রূপ সৌন্দর্য নাইবা থাকুক যদিও হয় সে কালো
গাঁয়ের মেয়ে কুঁড়েঘরের যেনো প্রদীপসম আলো।
শ্যামলা বরণ গায়ের রঙ লোকমুখে রটে
সুন্দরীকেও হার মানায় সে হউক না শ্যামলা বটে।
গাঁয়ের মেয়ে হালকা সাজে আলতা পরে পায়
কালো কেশে নারকেল তেল আতর মাখে গায়।
কব্জিভরা কাঁচের চুড়ি লাল লিপস্টিক ঠোঁটে
রূপার নূপুর দুই পায়েতে কাজল আঁখি পটে।
বন্ধু তুমি শহর ছেড়ে একবার এসো গাঁয়
গাঁয়ের মেয়ের রূপ দেখে যাও বসে গাছের ছায়।