আজ বুধবার ১৬ নভেম্বর কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়।
এই উপলক্ষে আজ সকাল ১১টায় কটিয়াদী উপজেলা পরিষদm হলরুমে আনুষ্ঠানিক ভাবে উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে রবি মৌসুমের ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকের মাঝে ৩ হাজার ৭০০ শত সার ও বীজ এবং ১ হাজার শীতকালীন সবজি বীজ গম, ভূট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম,পিয়াজ ,মুগ, মসুর, ও খেসারীসহ বিভিন্ন জাতের বীজের সাথে ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান, কটিয়াদী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মুকশেদুল হক, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শিকদার। কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল আলম রফিক,আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল মাষ্টার সহ উপকার ভোগী কৃষক কৃষাণীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার মুকশেদুল হক বলেন, এ বছর উপজেলার ৪৭০০জন চাষিদের সার ও বিভিন্ন বীজ ধরনের দেওয়া হবে। দানাদার খাদ্য শস্য উৎপাদনের সাথে সাথে তেল ও মসলা ফসল উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। বীজ ও সারসহ সকল আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি প্রদান করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হলে কোন জমি খালি রাখা যাবে না। প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল আবাদের জন্য কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। জমি চাষের আওতায় আনতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। পতিত জমিতে যারা চাষ করবে, তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে কৃষকদের পরামর্শ দেন।