মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ডাংমড়কা বাজারে সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গতকাল কুখ্যাত সন্ত্রাসী মিঠুনসহ ৭জনের নামে দৌলতপুর থানায় মামলা হয়েছে। আনন্দ টেলিভিশনের কুষ্টিয়া জেলা
প্রতিনিধি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার দপ্তর সম্পাদক, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির নির্বাহী সদস্য ফিরোজ কায়সার বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ রয়েছে, বাগোয়ান কেসিভিএন হাইস্কুল চত্বরে লীজকৃত বৈধ সবজী বাজারে চাঁদার দাবিতে সন্ত্রাসী হামলা করে রক্তাক্ত আহত করা হয়। হামলার
শিকার হয়ে সাংবাদিক ফিরোজ কায়সার দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় একটি এজাহার দাখিল করলে ওসি মজিবর রহমান এজাহারটি ওসি তদন্তকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। ওসি তদন্ত সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সিসি ফুটেজ সংগ্রহ, বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষ্য প্রমানসহ ঘটনার সত্যতা পাওয়া এজাহারটি আমলে নেয়। মামলা নং-৩৭, তারিখ : ১২/১২/২০২২। কুখ্যাত সন্ত্রাসী জাফর ইকবাল মিঠুন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে ক্ষমতাধীন এমপির আর্শিবাদে মিঠুন হয়ে ওঠে শীর্ষ সন্ত্রাসী। র্যাবের গাড়ি বোমা হামলা পুলিশের ওপর হামলা শতাধিক ডাকাতি অস্ত্র ও মাদক চোরাচালীন সহ এমন কোন অভিযোগ নেই যা করে না মিঠুন। এরপরও কখনও প্রকাশ্যে কখনও আত্মগোপনে থেকে তার অপরাধের সাম্রাজ্য চালাচ্ছে মিঠুন। জানা যায়, ভারত লাগানো সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর ত্রাস মিঠুনের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার নতুন বাগোয়ান গ্রামে। দৌলতপুরের প্রাগপুর, বাগোয়ান ও আদাবাড়ি মাঠে ছিনতাই ডাকাতি করে মিঠুন। এলাকার সাধারণ মানুষ জানায়, জাফর ইকবাল মিঠুনের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না সাধারণ মানুষ। ১৫ দিন আগে প্রাগপুর মাঠে একটি মটর সাইকেল ছিনতাই হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ মিঠুন ওই মটর সাইকেল ছিনতাই চক্রের মূলহোতা। ২০০৫ সালে আদাবাড়ি এলাকায় র্যাবের গাড়িতে বোমা হামলা চালায় মিঠুন। এরপর র্যাবের অভিযানে তৎকালীন বিএনপি দলীয় সাংসদের আর্শিবাদে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। দীর্ঘদিন বিদেশে পালিয়ে থেকে আবার ফিরে আসে দেশে। এরপর তেকালা বিলগাথুয়া এলাকার বিপথগামী যুবকদের সাথে নিয়ে শুরু করে নতুন করে বাহিনী। সীমান্তেও ওপার থেকে বিদেশ করে পশ্চিমবঙ্গের হৃদয়পুর, করিমপুর এলাকা থেকে ফেন্সিডিল এবং বিদেশী পিস্তল নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে। ঢাকার গাংচিল বাহিনী সহ একাধিক বাহিনীর সাথে সখ্যতা আছে মিঠুনের। অপরাধের স্বর্গ রাজ্য তৈরী করলেও তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ। গত ৩ মাস আগে ডাংমড়কা বাজারে দৌলতপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর আশরাফের ওপর হামলা করে মিঠুন। সম্প্রতি মিঠুনের সেকেন্ড ইন কমান্ড কমল নিজ বাড়িতে বোমা তৈরি করতে গিয়ে সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে।