মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি যাত্রীবাহী পাখিভ্যানকে পিছন থেকে ধাক্কা দিয়েছে ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন ভ্যানের চালক নাজমুল হোসেন (৩০)। এছাড়াও এঘটনায় ভ্যানের আরো দুই যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর-২২) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের কুমারখালীর নন্দনালপুর ইউনিয়নের বাঁশআড়া নামের স্থানে এদুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমুল হোসেন উপজেলার নন্দনালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ গ্রামের মো. সাকিম শেখের ছেলে। আর আহত ব্যক্তিরা একই এলাকার মো. দবির উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন ও মো. মজনুর ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২০)। তাঁরা পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারনে এদুর্ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ট্রাকের চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটিকে জব্দ করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাকাসী সুত্রে জানা গেছে, ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে প্যাখি ভ্যানে রাজমিস্ত্রি কাজের জন্য নাজমুল, হেলাম ও রাসেল কুষ্টিয়া শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুমারখালীর বাঁশআড়া এলাকায় পৌছালে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পিছন দিক থেকে একটি খালি ট্রাক ভ্যানটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায় । এতে ঘটনাস্থলে নাজমুল হোসেন (৩০) নিহত হন। আর স্থানীয় লোকজন ওপর দুজনকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ঘন কুয়াশার কারনে এদুর্ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ট্রাকের চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটিকে জব্দ করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন বলেন, ‘ভ্যানটিকে পিছন থেকে ট্রাক ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যান চালক মারা যান। আহত দুইজনকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মরদেহ হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক দেবব্রত রায় বলেন, ‘মরদেহ ও আহত ব্যক্তিরা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে আছেন। চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে।