মোঃ জিয়াউর রহমান কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর বোয়ালদাহ গ্রামে বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাফি আলী (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠছে। নিহতের চাচা ও চাচাতো ভাইরা তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চারমাস আগে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয় নির্মাণ শ্রমিক সাফিকে। সফি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতেই ভুগছিলো মস্তিষ্ক/স্পাইনে আঘাত জনিত ক্ষত নিয়ে। একপর্যায়ে ২৬ মার্চ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাফির স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি হওয়ায় পরিবারের স্বজনরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সফিকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. হোসেন ইমাম জানান, সোমবার সকালে সাফি নামে এক যুবককে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সাফি আলী সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদাহ নদীরকুল এলাকার মানসিক প্রতিবন্ধী মতিয়ার রহমানের একমাত্র কর্মক্ষম ছেলে ছিল।
নিহতের মা বেবি খাতুনের অভিযোগ, বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত দ্বন্দের জেরে আমার ভাসুর কামাল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তার ছেলেদের হুকুম দিয়ে আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলো। তারই জেরে গত বছরের ২০ নভেম্বর সকালে আমার ছেলে সাফিকে কামাল হোসেনের ৪ছেলে তোফাজ্জেল (৩৫), তুষার (৩০), সুজন (২৫), মোফাজ্জেল (২২) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বোয়ালদাহ গ্রামের কামাল হোসেনের বাড়িতে হাত পা বেধে রড ও লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ এসে গুরুতর আহত সাফিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিস্তেজ অবস্থায় অসুস্থতায় ভুগছিলো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, সোমবার সকালে বোয়ালদাহ গ্রামে সাফি নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যারাই জড়িত থাক তাদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।