বিনোদন ডেস্ক:
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সংক্রমণ কমছে না টালি অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলার। সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তা। বার বার জ্বর আসছে। এমনকী, নতুন অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্সও শুরু হয়েছে ঐন্দ্রিলার। ঐন্দ্রিলাকে রাখা হয়েছে কড়া পর্যবেক্ষণে। তবে এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৩ দিন ধরে হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ঐন্দ্রিলা। তার ছায়াসঙ্গী হয়ে সেখানে রয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী।গত সোমবার ফেসবুক পোস্টে সব্যসাচী জানিয়েছিলেন, ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন ঐন্দ্রিলা। আগের থেকে তার শ্বাসক্রিয়া অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বরও কমেছে। সব্যসাচীর এই পোস্টে কিছুটা স্বস্তির খবর পেয়েছিল ঐন্দ্রিলার অনুরাগীরা। তবে গত বুধবার ফের ঐন্দ্রিলার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ে।
এর মধ্যেই আবার ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ভুয়া খবর ছড়িয়েছিল। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফেসবুক পোস্টে সব্যসাচী লিখেছিলেন, “আমার আজকাল কিছুই লিখতে ইচ্ছা করে না, কিন্তু আজ কিছু মানুষের বর্বরতার নমুনা দেখে লিখতে বাধ্য হলাম। ইউটিউবের কল্যাণে কয়েকটা ভুয়া ভিডিও আর ফেক থাম্বনেল বানিয়ে পয়সা রোজগার করা অত্যন্ত ঘৃণ্য মানসিকতার কাজ বলে আমি মনে করি, সেটা যে ওর বাড়ির লোকের মনে কেমন প্রভাব ফেলে তা হয়তো আপনারা বুঝবেন না। আমার চোখে ওর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেনি, অবনতি ঘটেছে মানবিকতার।”
এরপরই আবার ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকের অভিনেতা লেখেন, “‘ভাল আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচণ্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।”
কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাংলা টেলিভিশনের জগতে নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন ঐন্দ্রিলা। স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’ ধারাবাহিকেও মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাকে। সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তুলির ভূমিকায়। বহুদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। একবার নয় দু-দু’বার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে তার শরীরে। দু’বারই ক্যানসারকে হার মানিয়েছেন অভিনেত্রী।