অনলাইন ডেস্ক:
আকস্মিক সফরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। ইউক্রেন-রাশিয়া হামলার পরে এটি তার প্রথম বিদেশ সফর। ইতোমধ্যে তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। বৈঠকের পর দুই দেশের নেতা যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ভাষণও দিয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
কংগ্রেসে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অকুণ্ঠ সমর্থন দেওয়ায় তিনি কৃতজ্ঞ। তিনি মস্কোর বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানান। এ ছাড়া মার্কিন সরকারের কাছে তিনি আরও সহায়তা প্রার্থনা করেছেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন কখনোই আত্মসমর্পণ করবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাকে ‘গণতন্ত্রের জন্য বিনিয়োগ’ বলেও অভিহিত করেন তিনি এবং বলেন, মার্কিন সহায়তা কোনো ‘দাতব্য বিষয়’ নয়। জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠানোর পাশাপাশি ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাঠাবে।
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন জো বাইডেন। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা চাই যুদ্ধ শেষ হোক। এই যুদ্ধ আজই থেমে যেতে পারত, যদি পুতিনের সেই ভদ্রতাবোধ থাকত এবং ঠিক কাজটি করতে পারতেন। তিনি যদি সেনাদের বলতে পারতেন, ফিরে আসুন। কিন্তু এমনটা ঘটবে না। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইউক্রেনকে যুদ্ধে জেতানোর জন্য শেষ পর্যন্ত সাহায্য করে যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে জেলেনস্কি এক টুইটার পোস্টে বলেছিলেন, ইউক্রেনের ‘প্রতিরোধ ও প্রতিরক্ষা জোরদার’ করতে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এই সফরকে ‘খুবই স্পর্শকাতর’ সফর বলে উল্লেখ করে বলেছেন, এমন এক সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন, যখন মার্কিন আইন প্রণেতারা ইউক্রেনকে ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন নিয়ে ভোটাভুটি করবেন।
জেলেনস্কির এই সফরকে ক্রেমলিনও ভালো চোখে দেখছে না বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের উদ্ধৃতি দিয়ে আল-জাজিরা বলেছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এই সফর ভালো কিছু বয়ের আনবে না। যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করেই যাচ্ছে এবং ক্রমেই তা বাড়ছে। এটা অবশ্যই যুদ্ধের তীব্রতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে।