রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দৈনিক সকালের সময়ের সিনিয়র রিপোর্টার শহিদুল ইসলামকে হত্যার হুমকি রূপগঞ্জে সাংবাদিক রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু স্বৈরাচার পতনে যাতে ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়, সেই কাজ করছি: প্রধান উপদেষ্টা ফুলপুরে মাদকাসক্ত ছেলেকে ভ্রাম্যমান আদালতের হাতে তুলে দিলেন মা! ৬ মাসের কারাদণ্ড সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার রূপগঞ্জে ভূলতা  সিলেট মহাসড়ক যানজট মুক্ত   নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা  হাইওয়ে পুলিশ দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন ওএসডি, ৭ কর্মকর্তাকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত সচিবালয়ের ক্যান্টিনের নিয়ন্ত্রণ নিতে সংঘর্ষ বাংলা বললেই জোর করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে : ক্ষোভ মমতার
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

ডোপ টেস্ট চাকরি হারিয়েছেন মাদকাসক্ত ১১৬ পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৫৬ Time View
Update : শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩, ৭:০০ পূর্বাহ্ন

অনলাইন  ডেস্ক:

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) ডোপ টেস্ট বা মাদক পরীক্ষায় মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১২৬ জন। চাকরিচ্যুত হয়েছেন ১১৬ জন। এছাড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আগে একজন মারা গেছেন এবং আরেকজন অবসরে চলে গেছেন। বাকি আটজন শাস্তি দেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন।

ডিএমপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডোপ টেস্টে বেশি পজিটিভ হয়েছেন পুলিশ কনস্টেবলরা। শনাক্ত হওয়া ১২৬ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ৯৮ জনই কনস্টেবল। বাকিদের মধ্যে একজন পুলিশ পরিদর্শক, ১১ জন উপপরিদর্শক (এসআই), একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট, সাতজন সহকারী উপরিদর্শক (এএসআই) এবং আটজন নায়েক। ২০২০ সালের ১০ মার্চ তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম পুলিশকে মাদকমুক্ত করতে ডিএমপিতে ডোপ টেস্ট (মাদকাসক্ত চিহ্নিতের পরীক্ষা) চালু করেন। ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ২৭ জুলাই পর্যন্ত ডোপ টেস্টে ১২০ জন পুলিশ সদস্যকে মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

এর মধ্যে ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত এই ১৬ মাসে মাত্র ২০ জন পুলিশ সদস্য শনাক্ত হন। ওই বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডোপ টেস্টে কেউ মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হননি। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ছয়জন পুলিশ সদস্য মাদকাসক্ত হিসেবে শনাক্ত হন।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০ সালের ১০ মার্চ থেকে ডিএমপিতে শুরু হওয়া এই ডোপ টেস্ট ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত জোরেশোরে চলে। ওই বছরের আগস্ট থেকে ডোপ টেস্টে শনাক্তের সংখ্যা কমে গেছে। এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশের ডোপ টেস্ট বন্ধ হয়নি। এখন সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যকে এই ডোপ টেস্ট করা হয়। অনেকের চাকরি চলে যাওয়ায় পুলিশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কমে গেছে। এই ডোপ টেস্ট অব্যাহত থাকবে।

ডোপ টেস্টের উদ্যোক্তা সাবেক ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন অনুসন্ধানে তিনি জানতে পারেন, কোনো কোনো পুলিশ সদস্য বন্ধুর পাল্লায় পড়ে কৌতূহলী হয়ে প্রথমে মাদক গ্রহণ করেন। পরে ওই বন্ধুর চাপাচাপিতে আবারো মাদক নেন। পরে তিনি মাদকসেবী হয়ে পড়েন। তার সান্নিধ্যে এসে ওই পুলিশ সদস্যের ব্যাচমেট, পরে ব্যারাকের রুমমেট মাদকাসক্ত হচ্ছিলেন, প্রতিদিন তাদের তিনটির কম ইয়াবায় হতো না। এভাবে তিনটি ইয়াবা কিনতে তার খরচ হতো ১ হাজার টাকা, সে হিসাবে মাসে খরচ হতো ৩০ হাজার টাকা। অথচ একজন পুলিশ কনস্টেবল বেতন পান ১৭ হাজার টাকা। মাদকের খরচ চালাতে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে যান তারা। এভাবে পুলিশ লাইনের অনেক সদস্য মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন।

তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনার থাকাকালে নিয়োগ পাওয়া তিন হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণের সময় ডোপ টেস্ট করিয়েছিলেন। সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যের তালিকা ধরে তিনি মাদক পরীক্ষা করেন। ডোপ টেস্টে শনাক্ত হওয়া পুলিশ সদস্যদের চাকরিচ্যুতির নোটিশ পাঠানোর পর এ খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে অনেকেই ভয়ে মাদকসেবন ও মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেন। শেষমেশ তিনি অবসর নেওয়ার আগের তিন মাস (২০২২ সালের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর) ডোপ টেস্টে কোনো পুলিশ সদস্য পজিটিভ হননি।

তার মতে, এখন ডিএমপিতে মাদকাসক্তের সংখ্যা কমে গেছে।২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর মো. শফিকুল ইসলাম অবসরকালীন ছুটিতে যান।পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোখলেসুর রহমান বলেন, পুলিশকে মাদকমুক্ত ও সুশৃঙ্খল করতে অবশ্যই ডোপ টেস্ট চালু রাখতে হবে।

তার মতে, ডোপ টেস্টে ভাটা পড়লে পুলিশ কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগ চালু করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দিলে তা আবার চাঙা হবে। এতে ডোপ টেস্টের প্রবণতা আবার স্বাভাবিক হবে।শনাক্তের হার কমে যাওয়া প্রসঙ্গে মোখলেসুর মনে করেন, ডোপ টেস্ট চালু থাকায় সবাই সতর্ক হয়ে গেছেন, সেই জন্য হয়তো ধরা পড়ছে কম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin