স্টাফ রিপোর্টার : হাইকোর্টের নির্দেশনা ছিল অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেওয়া। গত এক বছরে ত্রিশালে একটি ইটভাটাও বন্ধ করেনি প্রশাসন। বরং অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ইটভাটা গুলো থেকে বিভিন্ন অজুহাতে সহযোগিতা নিয়েছে প্রশাসন। জানুয়ারি মাসে হামিদ ব্রিকস আলম ব্রিকস সহ অন্তত ২৬ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানা করেন। বন্ধ করার কোন নির্দেশনা না দেওয়ায় কিংবা কাউকে আটক না করায় পুরোদমে অবৈধ ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম চালু রেখেছে ভাটা মালিকেরা। অবৈধ ইটভাটার মালিকরা বলছেন প্রশাসন আমাদের ডাটা বন্ধ করেনি ভাই ডাটা চালাতে কোন সমস্যা নেই।
ইটভাটা মালিক সমিতি ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ত্রিশাল উপজেলায় ৫৬ ইটভাটা রযেছে। এর মধ্যে ৫/৬ টির পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সব লাইসেন্স রয়েছে। অর্ধশতাধিক অবৈধভাটা চালু থাকলেও উপজেলা প্রশাসন কোন নোটিশ বা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেননি। বরং বিষয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ভাটাগুলো থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়েছেন বলে জানিযেছে ইটভাটা মালিকরা। এসব অবৈধ ইটভাটাগুলো অন্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একবারে সন্নিকটে অবস্থিত।
ত্রিশালের নওপাড়া গ্রামের হামিদ ব্রিকস প্রতিষ্ঠানটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। পরিবেশ অধিদপ্তর এ ভাটায় অভিযান চালালে ও ভাংচুর কার্যক্রম শুরু করলে পরে অদৃশ্য কারনে জরিমানা করে ভাংচুর বন্ধ করে দেয়। এ ভাটার অর্থ কিলোমিটারের মধ্যে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বাজার রয়েছে।
নওপাড়া দাখিল মাদ্রসার ২০ যজ্ঞের মধ্যে আলম ব্রিকস কোম্পানি নামের সমম্পূর্ণ অবৈধ একটি ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে চালু আছে। এ ভাটাটি ও ঘনবসতি এলাকায় অবস্থিত হলে ও ভ্রাম্যমান আদালত জরিমানা করেন, ডাঁটা বন্ধ করেননি। ডাটা মালিক খোরশেদ আলম জানান, আমাকে প্রশাসন ইটভাটা বন্ধ করেনি এবং বন্ধ করতে বলেননি।
অন্যদিকে হরিরামপুর ইউনিয়নের রায়েরগ্রাম এলাকায় অবস্থিত রোজ ব্রিকস কোম্পানীটি সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপন করা হয়েছে। অবৈধ এই ভাটাটির ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করলে ও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক আহমেদ জানান অবৈধ ইটভাটা বন্ধে আমাদের অভিযান চলমান আছে।