অনলাইন ডেস্ক:
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার নেতৃত্বে জঙ্গিদের একটি কিলিং স্কোয়াড গড়ে তোলা হয়েছে। যাদের সঙ্গে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র সরাসরি জড়িত। তারা যেন নাশকতা বা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজারবাগে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী যেভাবে এ দেশের বিরুদ্ধে তাদের দোসর নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলো, এখনো তাদের সেই কর্মকাণ্ড অব্যাহত আছে। তারই অংশ হিসেবে তারা দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে নিষিদ্ধ এ জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্বে জামায়াতের গ্রেপ্তারকৃত আমির ডা. শফিকুর রহমান ও তার ছেলে। তারাই এই কিলিং স্কোয়াড গড়ে তুলেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বিশেষ করে ঢাকার সিএমে আদালত থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার পর আমরা জঙ্গি সংগঠনের কিলিং স্কোয়াডের সন্ধান পায়। স্কোয়াডে বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে। জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত জামাতের আমির ও তার ছেলেকে গ্রেপ্তারের পর আমরা এসব বিষয়ে তথ্য পেয়েছি। যেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও রিমান্ডে তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে বিস্তারিত বলা সম্ভব না।
‘১০ ডিসেম্বর এ স্বাধীনতা বিরোধীচক্রই জঙ্গি এবং জামাতের সহযোগিতা নিয়ে দেশের ভেতর অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুশৃঙ্খলভাবে তাদের নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ কারণে শান্তিপূর্ণভাবে ১০ ডিসেম্বর পার করেছি। এ ধরনের চক্রান্ত যারা আগামীতে করবেন, তাদেরও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সেই সক্ষমতাও রয়েছে। রাজধানীর ২ কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে আমাদের পুলিশ বাহিনী সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে।’
এর আগে, আলোচনা সভায় খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ১৯৭১ সালে থেকে আমাদের পূর্বপুরুষেরা পুলিশ বাহিনীকে যেভাবে গড়ে তুলেছেন ঠিক আমরা সেভাবেই এ বাহিনীটিকে পরিচালনা করে আসছি। প্রতিটি পুলিশ সদস্য মুক্তিযুদ্ধ এবং সেখানে এদেশের মানুষের অংশগ্রহণ, পাক হানাদার বাহিনীর বর্বরতা ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমাদের পুলিশ সদস্যরা আগামীর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তারা স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এদেশে আর কোনও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রকে মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহক তারা মুক্তিযুদ্ধকে লালন পালন করে।