লাকী আক্তারঃ
প্রিয় মাতৃভূমি, জন্মভূমি, প্রিয় পিতা-মাতার আদর ভালোবাসা সোহাগ মায়ের মুখের হাসি বাবার মিষ্টি হাসি,এলাকার মিষ্টি হাসি,আত্মীয়-স্বজনদের ভালবাসা নেতাদের ডাকায় সবকিছু বিসর্জন দিয়ে হাজারো থেকে হাজার মাইল দূরে এসে একাকীত্ব হয়ে দেশের উন্নয়নের তাগিদে ও আত্মীয়-স্বজন এবং নিজের পরিবারের সুখের চিন্তা করে নিজের কষ্ট নিজের ভালোবাসা ত্যাগ দিয়ে একজন পুরুষ তার জীবনের প্রায় অর্ধেক সময় নষ্ট হয়ে যায় একাকীত্ব প্রবাস জীবন।
দেশের কথা ,দেশে কোন পরিবারের কথা মনে হতেই দুটি নয়ন ভরে যায় জ্বলে । কখনো শুনতে হয় পিতাহারা হয়ে গেছি ,কখনো শুনতে হয় মাতা হারা হয়ে গেছি, কখনো শুনতে হয় আপনজন থেকে দূরে চলে গেছি।
তার মাঝেই তীরকের আঘাতের মত আঘাত নিয়ে ডিউটির শেষে কাপড় গুছানো থেকে শুরু করে রান্না পর্যন্ত নিজেকে সামলে নিতে হয়। তারপরও যখন পত্রের মাঝে ভেসে ওঠে একজন দেশ প্রেমিক রেমিডেন্স যোদ্ধা হয়েও প্রতিহিংসার কবলে পড়ে মামলার আসামি (ওয়ারেন্টভুক্ত) হয়েছি এই খবর বা পত্র শোনার পর বুক ফেটে কান্না আসে কিন্তু দুঃখ দেখার কে আছে আমার।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার ৬ নং রাওনা ইউনিয়নের ছয়বাড়িয়া গ্রামের মোঃ হৃদয় মিয়ার অসহনীয় যন্ত্রণার ঘটনা ঘটে গেল একজন প্রবাসী রেমিটেন্ট যোদ্ধার। ২০২০ সালে হৃদয়ে জেগে ওঠা বঙ্গবন্ধুর সেই ৭ ই মার্চের ভাষণের প্রতিক্রিয়া।আর সেই ভাষণের চর্চা থেকেই বাপ-দাদার অনুশাসনের অনুপ্রেরণা মহানায়ক বাংলাদেশের স্বাধীনতার এক মানচিত্র বিশ্বের মানচিত্রে যাকে সৎ এবং সাহসী মহানায়ক হিসেবে মেনে নিয়েছে সেই মহান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে নামতে শিখেছে মিছিলে, শিখেছে আওয়ামী লীগের ইতিহাস প্রচার করতে, শিখেছে নেতৃত্বের রূপরেখায়,চেষ্টায় মেতে উঠেছে সমাজকে নিয়ে বেঁচে থাকতে ঠিক সেই সময় কথিত নামধারী অনুপ্রবেশকারী এক আওয়ামী লীগের নজরে বদ্ধ হতে হলো হৃদয় মিয়াকে।
কিন্তু না হৃদয় কোন কিছুই মানতে রাজি না এবং চলতে শুরু করল সেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে হাত ধরল প্রকৃত একজন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের। সেই থেকে নজর কথিত ছদ্মনাম (ছোট মনা) তার নজরে হৃদয় মনে যেন সিংহের রূপ নিয়েছে। কিন্তু কোন কিছুতেই যখন সেই শেখ রাসেল অনুসসারিত ছোট্ট হৃদয় বঙ্গবন্ধু রাজপথকে কাঁপিয়ে তুলতে শেখ হাসিনার স্লোগানকে রাজপথে উচ্চকণ্ঠে প্রচার করতে শুরু করল তখনি হৃদয় মিয়ার উপরে নেমে আসলো অমাবস্যার চাঁদ।
সমাজের নিকৃষ্ট এক মেয়ের দ্ধারা লাঞ্চিত করে(ছোট মনা) তার মুঠোফোনে স্বৈরাশাসকিত কন্ঠে থানাকে ম্যানেজ করে মামলা ঠোকে দিল আর আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হলো সেই শেখ রাসেল অনুসারীকে। কোন দিক-বেদিক না পেয়ে পরিবারের সবাই মিলে এবং সংসারের হাল ধরতে পাঠিয়ে দিল সেই মরুর দেশে আবদ্ধ হয়ে গেল প্রবাস জীবনের খাঁচায়।
কিন্তু কয়েকটি বছর হয়ে গেল মনে পড়ে বারবার জন্মভূমি,বঙ্গভূমি মাতৃভূমির টানে একটু দেশে যাওয়া জীবনের এক অনুভূতি উপভোগ করা একান্তই প্রয়োজন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আইন তার আইনের গতিতে চলছে আমার মামলা কি শেষ হয়েছে কিনা মামলা চলমান আছে কিনা আমাকে সবুজ বাংলার বঙ্গবন্ধুর মানচিত্র গ্রেফতার এর ঘরে পাঠিয়ে দিবে কিনা সেই ভয়ে আমি আজও শঙ্কিত। আমার মত হাজারো হাজার প্রবাস যারা নির্বাচিত সবার পক্ষ থেকে আমি দেশের ওরদূতন কর্তৃপক্ষ এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণের প্রতি জোরালো অনুরোধ জানাচ্ছি এই অসহায় প্রবাসীদের জন্য এমন একটি ব্যবস্থা করে দিন যেন জন্মভূমির মানচিত্র দেখে কারাগারের কঠিন দেয়ালের মধ্যে যেন আবদ্ধ না হতে হয় এর জন্য প্রবাসীদের একটু হাসি একটু কষ্ট একটু ব্যাথা আর দু ফোঁটা নয়নের জল যেন বুকে ধারণ করতে না হয় এমনটি প্রত্যাশা রেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার গফরগাঁয়ের নয়নের মনি আমার পরিবারের অভিভাবক আমার প্রিয় অভিভাবক জনাব ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল এমপি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আমার নেতা যখনই সৌদি আরবে আসেন তখনই অলিতে গলিতে হাজারো প্রবাসের মনের কথা শুনতেন। হে অভিভাবক আমি আপনার নেতৃত্বের বিশ্বাসী আমি আপনার নেতৃত্বের অনুসরণ করি অন্য কারো নয়।