ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর আদালতে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে মাইক্রোবাস থেকে নামিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইজকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের আব্দুল বারিক শেখের ছেলে সবুজ শেখ (৩০), সিরাজ শেখের ছেলে আলামিন শেখ (৩০) এবং পাঁচু শেখের ছেলে ইলিয়াস শেখ (৩২)। আহতদের মধ্যে সবুজ শেখ ও আলামিন শেখকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারীদের সাথে আহতদের দীর্ঘদিনের মারামারির ঘটনা নিয়ে মামলা চলছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর থেকে একটি মামলার হাজিরা দিয়ে মাইক্রোবাস যোগে গুনবহার বাড়ি ফিরছিলেন আহতরা। ওই গাড়িতে সবুজ শেখ, আলামিন শেখ ও ইলিয়াস শেখও ছিলো। তারা ফরিদপুর থেকে মাঝকান্দি হয়ে বোয়ালমারীর সাতৈর ইউনিয়নের মুজুরদিয়া ব্রিজের উপর পৌঁছালে মাইক্রোবাসের সামনে মোটরসাইকেলের ব্যারিকেড দিয়ে বোয়ালমারী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গুনবহা গ্রামের ফরিদের ছেলে রাহুল, আব্দুল মান্নানের ছেলে জাহিদ, সাত্তার শেখের ছেলে শাহিন, রহমদীর ছেলে নবীরুলের নেতৃত্বে ১০-১২জন আহতদের ওপর রামদা-ছোরা দিয়ে হামলা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সবুজ ও আলামিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মাইক্রোবাসের যাত্রী বাচ্চু শেখ জানান, এর আগেও হামলাকারীরা আহতদেরকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তারপর থেকে তাদের সাথে মামলা চলছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আন্না সুলতানা বলেন, আহতদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দুই জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। লিখিত অভিযোগ এখনও কেউ দেয়নি। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।