তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে আর্জেন্টিনা। ফুটবল বিশ্বের ‘গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’ লিওনেল মেসির হাত ধরে ৩৬ বছর পর শিরোপা জিতে নিয়েছে লে আলবিসেলেস্তেরা। চ্যাম্পিয়ন ফুটবলাররা চেয়েছিলেন দেশের ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। একই চাওয়া ছিল আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনেরও। কিন্তু সেই ভক্তদের চাপেই সম্ভব হয়নি চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করা। ফুটবলারদের ভালোবাসা পাবে বলেই আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সের আইকনিক ওবেলিস্কো মনুমেন্টের এখানে চলে এসেছেন প্রায় ৫০ লাখ ভক্ত-সমর্থকরা।
যেখানে ছাদখোলা বাসে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে বাকি ফুটবলারদের। কিন্তু ভক্তদের চাপে ছাদখোলা বাস থেকে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরিয়ে ফেলা হয় ফুটবলারদের। কারণ, মেসিদের বাসের দিকে অনেক ভক্তই লাফ দেয় প্রিয় ফুটবলারকে আরও কাছ থেকে দেখবে, স্পর্শ করবে বলে। অনেকে তো ব্রিজ থেকে লাফিয়েও পড়ে। এর ফলে ১৮ জনের হতাহতের খবরও পাওয়া যায়।
এর ফলে ফুটবলারদেরও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ফলে ছাদখোলা বাস থেকে সরিয়ে মেসিদের হেলিকপ্টারে করে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভক্তদের কাছাকাছি ফুটবলাররা উপস্থিত হতে না-পারায় ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিও তাপিয়া।
ছাদখোলা বাসে বিজয় মিছিল সম্ভব ছিল না বলে হেলিকপ্টারের আয়োজন করা হয়েছে জানিয়ে আর্জেন্টাইন প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের মুখপাত্র গ্যাব্রিয়েলা সেরুতি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা হেলিকপ্টারে করে পুরো শহর উড়েছে। কারণ, স্থলপথে মানুষের আনন্দের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই কারণে স্থলপথে ছাদখোলা বাস দিয়ে বিজয় মিছিল চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না।’ এদিকে ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্লাউদিও তাপিয়া বলেন, ‘তারা (পুলিশ) আমাদের ওবেলিস্কে গিয়ে লাখো মানুষের সঙ্গে আনন্দ উৎসবে অংশ নিতে দেয়নি। যেই নিরাপত্তা সংস্থাগুলো আমাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে তারাই আমাদের যেতে দিচ্ছে না, এটা খুবই লজ্জাজনক। সব চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমা চাচ্ছি।’