ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ইস্মিতা খানম (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজ হওয়ার ১০ ঘন্টার মাথায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় গত তিনদিন আগে অপহরণ হয় বলে জানা যায়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুরের বোয়ালমারী জর্জ একাডেমীর ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সোতাসী গ্রামের শাহিন শেখ নামে এক যুবক তাকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাবসহ দিয়ে উত্যক্ত করে আসছিল। সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সোতাশী গ্রামের মো. আলমগীর হোসেনের (৪২) মেয়ে। গত ২৮ মার্চ সকালের দিকে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। সে তাদের বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার উপর উঠলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার বাকির শেখের ছেলে শাহিন শেখ (১৯) ও মজিবর শেখের ছেলে সবুর শেখ (১৯) তার মুখ চেপে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা মো. আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে শনিবার (১ এপ্রিল) বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপহরণ এবং উক্ত কাজে সহায়তা করার অপরাধে এই মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের চালিনগর গ্রামের বাকির শেখের ছেলে শাহিন শেখ (১৯), বাকির শেখ (৪৫), বাকির শেখের স্ত্রী শাহিনা বেগম (৪২), চুন্নু শেখ (৪৮), জাকির শেখ (৫০) এবং মজিবর শেখের ছেলে সবুর শেখ (১৯)।
মামলার বাদি ওই ছাত্রীর বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, মেয়েটি স্কুলে আসা যাওয়ার সময় শাহিন শেখ বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতো। শাহিনের কথা মেয়ে তার মাকে জানালে আমরা শাহিনের অভিভাবকদের নিকট নালিশ করি। এতেই শাহিন আমাদের পরিবারের উপর আরো ক্ষেপে যায়। তারপর গত মঙ্গলবার সকালের দিকে আমার মেয়ে সোতাসী গ্রামের আশরাফুল স্যারের নিকট প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় মেইন রোডে পৌঁছালে শাহিন লোকজন নিয়ে মুখ চেপে ধরে একটি মোটরসাকেলে উঠিয়ে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া সড়ক দিয়ে চলে যায়।
শনিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রহমান জানান, স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের ঘটনায় তার বাবা ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ মামলা করেছেন। মামলার পর ছাত্রীকে চতুল ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকা থেকে শনিবার সকালে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।