অনলাইন ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় শূন্য হওয়া ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন শেষে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। এর পরই নির্বাচন নিয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নির্বাচন কর্তা। বৈঠকে তফসিল ও ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ হবে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই বৈঠক হতে পারে। আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাতে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তফসিল ঘোষণার পর ১০-১২ দিন সময় থাকবে মনোনয়নপত্র দাখিলের। এক দিন সময় থাকবে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার। প্রত্যাহারের সময় থাকবে পাঁচ-ছয় দিন। এরপর ভোট গ্রহণের জন্য সাত-আট দিন সময় দেওয়া হবে। তবে প্রার্থী একজনের বেশি না হলে, একক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পরীক্ষা শেষে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় তাদের প্রার্থীর রাষ্ট্রপতি হওয়াটা প্রায় নিশ্চিত।নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া আমরা ইতোমধ্যে শুরু করে দিয়েছি। যথাসময়ে নির্বাচন হবে। আইন অনুযায়ী স্পিকারের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্বাচন প্রসঙ্গে আলাপ হবে।
সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ অবসানের কারণে এ পদ শূন্য হলে মেয়াদ সমাপ্তির তারিখের আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে আগামী ২৪ এপ্রিল শেষ হচ্ছে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ। সেই হিসেবে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। এর আগে, সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল হয়েছে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেসময় ১৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের তারিখ থাকলেও একক প্রার্থী হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত হন মো. আবদুল হামিদ।