অনলাইন ডেস্ক: লেবাননজুড়ে আরও কিছু যোগাযোগ ডিভাইসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন নিহত এবং আরও ৪৫০ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একদিন আগেই দেশটির বিভিন্ন স্থানে পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ ওই হামলার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই দেশজুড়ে আবারও বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ ডিভাইসে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এই পরিস্থিতিকে যুদ্ধের একটি নতুন পর্ব শুরু করার ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে কয়েক মাস লড়াই করার পর সংঘাত এখন উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে।এদিকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অবৈধ দখলদারত্ব বন্ধ করার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লেবাননের রাজধানী বৈরুত এবং আরও বেশ কয়েকটি শহরে একযোগে পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ২ হাজার ৭৫০ জন। আহতদের মধ্যে লেবাননে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতও রয়েছেন।
এসব বিস্ফোরণে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন যোদ্ধাও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই ঘটনার জন্য ইসরায়েলকেই দায়ী করেছে লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। আহতদের মধ্যে অন্তত ২০০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।পেজার হলো এক ধরনের ছোট যন্ত্র, যা মোবাইল ফোনের বিকল্প হিসেবে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। মঙ্গলবার হঠাৎ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক পেজার বিস্ফোরিত হতে থাকে। সেগুলো হ্যাক করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।