মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশঃ
২৪ ঘন্টায় লাইভ খবর পেতে চোখ রাখুন প্রতিদিনের বাংলাদেশ ওয়েবসাইটে

সুদানে সংঘাতে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০০

অনলাইন  ডেস্ক: / ৪৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩, ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন

সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যকার ক্ষমতার লড়াইয়ে গত তিনদিনে অন্তত ১৮৫ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত প্রায় ১ হাজার ৮০০ জন।সোমবার (১৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুদানে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ভলকার পার্থেস।

নিউ ইয়র্কে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এটি একটি খুব জটিল পরিস্থিতি, তাই ভারসাম্য কোথায় স্থানান্তরিত হচ্ছে বলাটা খুবই কঠিন। সংঘাতরত পক্ষগুলোর লড়াই দেখা মনে হচ্ছে না, তারা এখনই শান্তির জন্য আলোচনায় বসতে চাচ্ছে।

সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং দেশটির আধাসামরিক গোষ্ঠী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) প্রধান জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর মধ্যে লড়ই শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের অক্টোবরে অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদান একটি জেনারেল কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বিরোধের কেন্দ্রে দুইজন সামরিক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা এখন একে অপরকে যেকোনও মূল্যে পরাস্ত করতে চাইছেন।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার সুদানের যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে আবারও অবিলম্বে শত্রুতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসলে দেশ ও এই অঞ্চলের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে পারে।

রাজধানী খার্তুমের আবাসিক ভবনগুলো খুব কাছ দিয়ে সোমবার সামরিক হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। এরপরই বিভিন্ন জায়গায় থেকে আগুন ও কালো ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়তে থাকে। কোথাও কোথাও ভারী গুলিবর্ষেণর শব্দ শোনা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যস্ত সড়কগুলোয় সাধারণ মানুষের উপস্থিতি একেবারে নেই বললেই চলে। কিন্তু বেসামরিক মানুষ ঘরেও যে খুব একটা নিরাপদে তা নয়। গত কয়েকদিন ধরে সেনা ও আরএসএফের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ে নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ।

বিবদমান পক্ষগুলোকে অবিলম্বে লড়াই থামাতে সোমবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা খার্তুম ও সুদানের অন্যান্য ক্রমবর্ধমান সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি। কোনো শর্ত ছাড়াই অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাই আমরা।

সুদানে মূলত সব কিছুই এখনো দুই বাহিনী অবরুদ্ধ করে রেখেছে। খাবার, পানি, ওষুধ ফুরিয়ে আসছে বিভিন্ন জায়গায়। মানবিক করিডোর স্থাপনে রাজি হলেও গোলাবর্ষণ থেমে নেই। সংঘাত থামাতে আরব লীগের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকেও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত সাড়া মেলেনি।

সূত্র: আল জাজিরা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Developer Ruhul Amin