বিচারিক কাজে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা আরো বাড়াতে হবে বলে অভিমত দিয়েছেন ফরিদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আকবর আলী শেখ।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী ফরিদপুর কর্তৃক আয়োজিত “মাসিক পুলিশ- ম্যাজিস্ট্রেসী কনফারেন্সে” এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা সবার উপরে কাম্য হবে। এর জন্য বিচার প্রার্থী জনগণকে দ্রুত সময়ে গুণগত বিচারিক সেবা প্রধানে বিচার বিভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ সময় উল্লেখ করা হয়, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হামিদ ২০১৮ সালে যোগদানের পর থেকে বিচারকার্যে বৃদ্ধি পায়; গতিশীলতা বদলাতে থাকে মামলা নিষ্পত্তির চিত্র। তিনি বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে স্থাপন করেন এক অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। তাঁর দক্ষ নেতৃত্বে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদপুর গত পাঁচ বছরে মোট ৪৯৯৮৭ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে ৫ বছরের অধিক পুরাতন মামলা নিষ্পত্তি হয় ১১০৯ টি।
অন্যদিকে, ফরিদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে বর্তমানে পাঁচ বছরের অধিক পুরাতন মামলা চলমান আছে মাত্র ১০৭টি। গত ১লা জানুয়ারি-২০২২ ইং সাল হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ইং সাল পর্যন্ত মোট দায়েরকৃত মামলা ১৩০৪৩ টি হলেও উক্ত বছরে ১৫০৯৬ টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। বাৎসরিক মামলা নিষ্পত্তির হার ছিল ১১৬%। সেখানে আরো উল্লেখ করা হয় ২০২২ ইং সালে ১৫৮১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বর্তমানে ফরিদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে মোট ৮১৭৯ টি মামলা চলমান রয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত এই কনফারেন্সে ২০২২ সালে ফরিদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী কর্তৃক নিষ্পত্তিকৃত মামলার পরিসংখ্যান উপস্থাপন করা হয় এবং ২০২৩ সালের জন্য ফরিদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর ৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে উক্ত কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান (পিপিএম-সেবা), ফরিদপুর সিভিল সার্জন ডা: ছিদ্দিকুর রহমান, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড়, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফারুক হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার, ফরিদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আঃ কাদের মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মানিক কুমার মজুমদার সহ বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মরত সাংবাদিকরা।
সভার সঞ্চালনা করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমা আক্তার।
অনুষ্ঠানের শেষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাজের গতি ও মামলা নিষ্পত্তির হার বৃদ্ধিতে উৎসাহ প্রদানের জন্য দু’জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সম্মামনা স্মারক প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তরুণ বাছাড় ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ফারুক হোসাইন শ্রেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পুরস্কার দেয়া হয় এবং ভাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জিয়ারুল ইসলামকে শ্রেষ্ঠ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।